• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৩ মে, ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট : ২৩ মে, ২০২৩

মানবতাবিরোধী অপরাধ: গ্রেফতার আজহার কারাগারে

মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে গ্রেফতার মো. আজহার আলী শিকদারকে (৬৮) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (২২ মে) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। তিনি জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি মো. আজহার আলী শিকদারকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-২। রোববার (২১ মে) রাতে ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাগেরহাটের কচুয়া ও মোড়লগঞ্জ এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে মো. আজহার আলী শিকদারসহ অন্যান্য রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অবৈধভাবে আটক, নির‌্যাতন, অপহরণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন।

এ সাতটি ঘটনার মধ্যে দুজন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ২২ জনকে হত্যা, ৪০/৫০ বাড়ির মালামাল লুণ্ঠনের পর আগুনে পুড়িয়ে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা, দুজনকে অমানসিক নির‌্যাতনে গুরুতর আহত এবং চার নারীকে দীর্ঘদিন রাজাকার ক্যাম্পে আটক রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগে বলা হয়।

এ যুদ্ধাপরাধী কুখ্যাত রাজাকার হিসেবে ১৯৭১ সালের মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাগেরহাটের কচুয়া ও মোড়লগঞ্জ উপজেলায় সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই আজহার শিকদারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

আরও পড়ুন