![দৈনিক নোয়াখালীর কথা]( https://dailynoakhalirkatha.com/wp-content/uploads/2023/04/logo-noyakhali.png )
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বলেছেন, তিনি দাপ্তরিক গোপনীয়তা আইন ও পাকিস্তান আর্মি আইন সংশোধনের বিলে স্বাক্ষর করেননি। আইন দুটির ব্যাপারে একমত না হতে পেরে তিনি স্বাক্ষর করা থেকে বিরত ছিলেন। কিন্তু দেশটির আইন মন্ত্রণালয় বলেছে, এটা অসাংবিধানিক।
প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সদস্য। দেশটির সংসদের উভয়কক্ষে পাস হওয়া ওই দুটি আইনের বিরোধিতা করেছে পিটিআইও।
রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় আলভি বলেছেন, সৃষ্টিকর্তা আমার সাক্ষী, আমি অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যামেন্ডমেন্ট বিল-২০২৩ ও পাকিস্তান আর্মি অ্যামেন্ডমেন্ট বিল-২০২৩ এ স্বাক্ষর করিনি। কারণ আমি এই আইনগুলোর সাথে একমত নই।
দেশটির এই প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি অকার্যকর করার জন্য তার অফিসের কর্মীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আইনসভায় স্বাক্ষরবিহীন বিলগুলো ফেরত পাঠাতে বলেছিলেন। কিন্তু আমি আজ জানতে পেরেছি যে, কর্মীরা আমার ইচ্ছা এবং আদেশের অবমূল্যায়ন করেছে।
এদিকে, দেশটির আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের কাছে দুটি বিকল্প রয়েছে : সম্মতি প্রদান নতুবা সুনির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণসহ বিষয়টি সংসদে পাঠিয়ে দেওয়া। কিন্তু প্রেসিডেন্ট কোনও বিকল্পই পূরণ করেননি। এ ধরনের পদক্ষেপ সংবিধানের চেতনার পরিপন্থী।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট যদি খসড়া বিলে স্বাক্ষর না করেন বা তার পর্যবেক্ষণ বা আপত্তিসহ ১০ দিনের মধ্যে তা ফেরত না পাঠান, তাহলে ইতিমধ্যে সংসদের উভয় কক্ষে পাস যাওয়ার পর বিলটি আইনে পরিণত হবে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদন বলছে, ডনের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি শনিবার অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যামেন্ডমেন্ট বিল-২০২৩ ও পাকিস্তান আর্মি অ্যামেন্ডমেন্ট বিল-২০২৩ এ সম্মতি দিয়েছেন। এর ফলে প্রস্তাবিত আইনের খসড়া সংসদে আইনে পরিণত হওয়ার অনুমোদন পেয়েছে।
দুটি বিলই সিনেট এবং জাতীয় পরিষদে অনুমোদন পেয়েছিল এবং কয়েক সপ্তাহ আগে বিরোধী আইনপ্রণেতাদের সমালোচনার পরও তা প্রেসিডেন্টের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন :