অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। গত রোববার কালাদরাপ ইউনিয়ন পরিষদের ৯জন সদস্য স্বাক্ষরিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে জমা দেয়া হয়।
অভিযোগকারী ইউপি সদস্যরা হলেন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য শেফালী বেগম, আলেয়া বেগম, রুমি আক্তার, পুরুষ সদস্য মো. গোলাম কুদ্দুস, মো. নাছির, মো. আহছান উল্যাহ, আবুল কালাম, মো. হানিফ শেখ ও আবুল বাশার।
অভিযোগকারীরা বলেন, শাহাদাত উল্যাহ সেলিমের কালাদরাপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ব্যাপক দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতি করে যাচ্ছেন। জনগনের যে সেবা প্রদান করার কথা, তার কাছ থেকে সেবার পরির্বতে মানুষ শোষণের শিকার হচ্ছে। তাই আমরা জনগনের প্রতিনিধি হিসাবে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রদান করেছি।
ইউপি সদস্যরা আরো বলেন, শাহাদাত উল্যা সেলিমের বিরুদ্ধে গত বছরও আমরা অনাস্থা প্রদান করেছি। কিন্তু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা পর্যায়ের নেতাদের অনুরোধে আমরা পুনরায় একসাথে কাজ শুরু করি। কিন্তু সেলিম তার স্বেচ্ছাচারিতা না থামিয়ে আবারো দুর্নীতি ও অনিয়ম শুরু করে। তাই আবারো তাকে অনাস্থা দিয়েছি। আমরা তার বিরুদ্ধে দেওয়া সকল অভিযোগের তদন্তপূর্বক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কালাদরাপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাত উল্যাহ সেলিম বলেন, আমাদের মাঝে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। আজকে আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় উভয়পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আখিনূর জাহান নীলা ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত উল্যাহর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কয়েকজন ইউপি সদস্য স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :