![দৈনিক নোয়াখালীর কথা]( https://dailynoakhalirkatha.com/wp-content/uploads/2023/04/logo-noyakhali.png )
ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার দুই মাস আগে অবরুদ্ধ উপত্যকাটির মাত্র ২০ মাইল দূরে নেগেভ মরুভূমিতে একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের বিষয়ে চুক্তি সই হয় ওয়াশিংটন ও তেল আবিবের মধ্যে। এখানে স্থাপন করা হয় অত্যাধুনিক রাডার সিস্টেম ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এসবের মূল লক্ষ্য ইসরায়েলকে ইরানের সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে সুরক্ষা দেয়া, হামাসের রকেট হামলা থেকে নয়। তাই গত ৭ অক্টোবরের হামলাটি এই ঘাঁটি থাকা অবস্থায় হয়েছে যার কারণ হিসেবে জানা যায়, সেই সময় রাডারগুলো ৭০০ মাইল দূরের ইরানের দিকে নিশানা ছিল, অনেক কাছের গাজার দিকে ছিল না।
ইসরায়েলের হার কেরেন পর্বতমালার ওপর স্থাপন করা হয় এই ঘাঁটিটি, যার বিকল্প নাম দেয়া হয়েছে ‘সাইট-৫১২’। তিন কোটি ৫৮ লাখ ডলার খরচে নির্মিত এই ঘাঁটির নির্মাণ খরচ গোপনে অনুমোদন করে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। অনলাইন-ভিত্তিক অলাভজনক মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইন্টারসেপ্ট এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি সেখানে সহস্রাধিক সেনাসহ দুটি যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে ওয়াশিংটন। গাজার খুব কাছেই সামরিক ঘাঁটি গড়ে উঠছে বলে প্রতিবেদনে জানা গেছে। ফলে ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাসের চলমান সংঘাতে হয়তো যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িয়ে পড়তে পারে বলে মত দিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘস্থায়ী এই ঘাঁটি প্রকৃতপক্ষে একটি রাডার স্টেশন হিসেবে কাজ করবে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য এই ঘাঁটি নির্মাণ হচ্ছে। সরকারি নথিপত্রে আবার এই ঘাঁটিকে বর্ণনা করা হয়েছে ‘লাইফ সাপোর্ট ফ্যাসিলিটি’ হিসেবে।
আপনার মতামত লিখুন :