• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর, ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট : ৮ নভেম্বর, ২০২৩

অবরোধে লোকসানে ইলিশ ব্যবসায়ীরা

উপজেলা প্রতিনিধি, হাতিয়
দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ ঘাটগুলোতে বেড়েছে হাকডাক। তবে হরতাল-অবরোধের কারণে মাছের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় বিপাকে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। এমন অবস্থা চলতে থাকলে চরম লোকসানে পড়বেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চাহিদা অনুযায়ী ইলিশ না উঠলেও যা আসছে তা দিয়ে ট্রাক ভরা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ট্রাকের বাড়তি ভাড়া দিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। এছাড়া ১৬ থেকে ১৭ হাজার টাকার ভাড়া এখন দিতে হচ্ছে ২৫ হাজার টাকা। যাতায়াতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় মাছের দাম পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি ট্রাকেই গুনতে হচ্ছে লোকসান।

অবরোধের কারণে মাছের দাম কম হচ্ছে জানিয়ে মৎস্য ব্যবসায়ী ফজল ভাÐারী বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় এই হাট জনমানবহীন ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশের হাকডাক শুরু হলেও ব্যবসায়ীরা লোকসানে আছে। প্রতিটা গাড়িতে লোকসান দিতে হয়। এভাবে চলতে থাকলে পথে বসে যাওয়ার মতো অবস্থা হবে।

চেয়ারম্যানঘাটের মেঘনা ফিশিং এজেন্সির ম্যানেজার মো. হাবিব ভ‚ঁইয়া বলেন, জেলেরা দেনা করে ব্যবসা করে। অনেকেই দেনা পরিশোধ করতে পারেনি। ২২ দিনের অভিযানের পর তেমন মাছ নেই। তবে আমরা আশাবাদী সামনে মাছ হবে। জেলেরা দেনা পরিশোধ করে স্বাবলম্বী হবেন।

হরণী ইউনিয়নের সদস্য ও মৎস্য ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেন শাহরাজ বলেন, অভিযানের পরে জেলেরা নদীতে যে মাছ পাচ্ছে তা নিয়ে ফিরে আসছে। তবে অবরোধের কারণে তারা ভাল দাম পাচ্ছে না। কেজি প্রতি মাছের দাম ৩০০ টাকার বেশি কমে গেছে। এভাবে হরতাল অবরোধ থাকলে আমরা অনেক ক্ষতির মুখোমুখি হব।

হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাজু চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় মাছের গাড়িগুলো হাতিয়া থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাম কম পাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অবরোধের অজুহাতে ভোক্তাদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করছে খুচরা বিক্রেতারা। এক্ষেত্রে চাষি বা জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা।

আরও পড়ুন