• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর, ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট : ৮ নভেম্বর, ২০২৩

মাঠে নেই বিএনপি-জামায়াত, আওয়ামী লীগের শোডাউন

উপজেলা প্রতিনিধি, কোম্পানীগঞ্জ
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকে তৃতীয় দফার সর্বাত্মক অবরোধ শুরু হয়েছে বুধবার সকাল থেকে। তবে অবরোধের প্রভাব নেই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম চলছে স্বাভাবিকভাবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী এলাকায় অবরোধের ছিটেফোঁটাও নেই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাধারণ মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছে। খুলেছে দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। দলীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা বসে আছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় সতর্ক অবস্থানে আছে পুলিশ। আন্তঃজেলা বাস চলাচলের পাশাপাশি ছেড়ে যাচ্ছে দূরপাল্লার বাসও। ব্যাংক, বীমা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিকভাবেই চলছে।

২৭ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা থেকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের বাসে করে প্রতিদিন আনা নেওয়া করেন চালক খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, হরতাল ও অবরোধে প্রতিদিন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস এই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষার্থীদের আনা নেওয়া করি। এখানে হরতাল অবরোধের প্রভাব পড়েনি। যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। কোথাও সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।

আরিফুর রহমান নামের এক বাসিন্দা বলেন, হরতাল অবরোধ কি জিনিস তা এখনো কোম্পানীগঞ্জের মানুষ উপলব্ধি করেনি। তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে। কোথাও কোনো ঝামেলা নেই। একমাত্র কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় কোনো ধরনের পিকেটিং হয়নি।

সিএনজি অটোরিকশার লাইন ম্যান আবুল কাশেম বলেন, আমাদের বসুরহাট থেকে সব স্থানে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করছে। কোথাও কোনো বাধা বিপত্তি নাই। বসুরহাটের মানুষজন মাইজদী শহর ফেনী শহর নির্বিঘেœ আসা যাওয়া করছে।

বাস মালিক সমিতির সহ সম্পাদক জাকির হোসেন ওয়াসিম বলেন, প্রতিদিন দূর পাল্লার বাস কোম্পানীগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রীরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে চলাফেরা করছে।

পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্লাহ হামিদ বলেন, আমাদের অভিভাবক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মহোদয়ের এলাকায় কোনো অবরোধ নেই। এখানে মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেয়র আবদুল কাদের মির্জা মহোদয় হরতাল অবরোধের সময় দলীয় কার্যালয়ে ছিলেন। মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় সব সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ পাহারা দিচ্ছে।

বসুরহাট বাজারের ব্যবসায়ী ও কাউন্সিলর মো. রাসেল বলেন, বসুরহাটে ব্যবসায়ীরা দোকান খোলা রেখেছে। অফিস খুলেছে। হরতাল-অবরোধের ছিটেফোঁটাও এখানে লাগেনি।

ওবায়দুল কাদের সাহেবের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা বলেন, হরতাল অবরোধের সময় আমি দলীয় কার্যালয়ে থাকি। যারা অবরোধ ডেকেছে তাদের কেউ এই কোম্পানীগঞ্জে সহিংসতা করেনি। কোনো নাশকতার ঘটনা ঘটেনি। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত এখানে কোনো নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা হবে না।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের কোম্পানীগঞ্জে কোথাও কোনো পিকেটিং হয়নি। মানুষের জানমালের নিরাপত্তার অবনতি ঘটাতে আসলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে।

আরও পড়ুন