আলা-উদ্দীন সুজন
বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে, হরতাল অবরোধের বিরুদ্ধে বুধবার (১৫ই নবেম্বর) সকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় হতে একটি মিছিল বের হয়।
মিছিল শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সূবর্ণচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম বলেন, বিএনপি আজ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজপথে থেকে আন্দোলন করে নাই। এই সমস্ত চোরাগোপ্তা হামলা করে, হটাৎ কয়েকটি গাড়ি ভেঙ্গে আগুন দেওয়া, কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না।
তিনি বলেন,আওয়ামী লীগ সব সময় যুবলীগ কৃষক শ্রমিক লীগ সেচ্ছাসেবক লীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রাজপথে অবস্থান করে আসছে, জনগণের যেন কোনরূপ ক্ষতি না হয়, সেই দিকে খেয়াল রাখছে।

জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জননেতা ওবায়দুল কাদের ভাইয়ের দিকনির্দেশনায় আমরা আগামী নির্বাচনে জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে আছি এবং থাকবো।
আমাদের শেষ নিশ্বাস থাকা পর্যন্ত জনগণের পাশে থাকবো।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু বলেন, বিএনপির নেতাদের ঠিক-ঠিকানা নাই। তারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে লুকিয়ে থাকে, আচমকা বের হয়ে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, সিএনজি এমকি এম্বুলেন্সেও তারা হামলা করে আগুন দেয়। এটা কেমন আন্দোলন ? এটা কে আন্দোলন বলা যায় না, জঙ্গি সন্ত্রাস নৈরাজ্য সৃষ্টি করা কোন রাজনৈতিক আন্দোলন হতে পারে না।

শান্তি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি- অধ্যক্ষ এ.এইচ.এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি- আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য শামছুউদ্দিন আহাম্মদ সেলিম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি- আবদুজ জাহের, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক- এডভোকেট আতাউর রহমান নাছের সহ স্থানীয় নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক একরামুল হক বিপ্লব, পৌর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক নুর আলম সিদ্দিকী রাজু, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাহমাত উল্যাহ ভূঁইয়া ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নুরুল হুদা বাপ্পি সহ দলিয় নেতাকর্মী এবং মুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত ছিলেন।