• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর, ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট : ১৭ নভেম্বর, ২০২৩

কোম্পানীগঞ্জে ইট ভাটার দাদনের টাকার জন্য মধ্য যুগিয় কায়দায় নির্যাতন

উপজেলা প্রতিনিধি : কোম্পানীগঞ্জ থানার চর এলাহী ইউনিয়নের চরকমলি গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডে আলাউদ্দিনের বাড়ীতে মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে আলাউদ্দিনের মেয়ে রিনা বেগম (২৫)।

ভূক্তভোগী রিনা বেগমের মা আলিমজান জানান, গত ৮ নভেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় একই এলাকার হোসেন মাঝির বাড়ীর হোসেন মাঝির ছেলে মোশারফ হোসেন মাঝি (৪০), নিজম উদ্দীন মাঝি (৪৫), নুর উদ্দীন মাঝি (৩৫), একই বাড়ীর ফয়েজ আহম্মদ (৪৫), শেখ সাব (৪৭)সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন লোক তাদের বসত ঘরের উঠানে দাঁড়িয়ে গালি-গালাজ করে এবং উচ্চ কণ্ঠে হুঙ্কার মেরে বলে আলা উদ্দীন তুই কই। এ সময় তার বড় মেয়ে রিনা বেগম (২৫) তাদের উঠানে লাকড়ি তাক দিচ্ছিল। সে বলে বাবা-তো বাড়ীতে নাই। তখন নুর উদ্দীন মাঝি ও শেখ সাব তাদের গোয়াল ঘর থেকে ৩টি গরুকে পিটাতে পিটাতে নিয়ে যায়। ওই সময় তার বড় মেয়ে (ভিকটিম) বাধা দিতে গেলে মোশারফ হোসেন মাঝি তার চুলের মুঠি ধরে ঘুরাইয়া আছাড় মারে।

এতে সে মাটিতে লুটে পড়লে মোশারফ হোসেন মাঝি তার তলপেটে লাথি মারতে থাকে। তখন শেখ সাব মোশারফ হোসেন মাঝিকে গরু নিয়ে যেতে নির্দেশ দেয়। নুর উদ্দীন মাঝির লাথির আঘাতে ভিকটিম যন্ত্রণায় উপুড় হয়ে গেলে মোশারফ হোসেন মাঝি তার হাতে থাকা দা দিয়ে ভিকটিম রিনা বেগমকে আঘাত করে। এতে ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে পড়ে। নুর উদ্দীন মাঝি ও ফয়েজ আহম্মদ কড়ইর মোটাডাল দিয়ে ভিকটিমের সারা শরীরে পিটাইতে থাকে। তার ছোট মেয়ে লিনা বেগম বোনকে বাঁচাতে গেলে তার কোলে থাকা ভিকটিম রিনার মেয়ে সুলতানা আক্তার (৩) কে তার কোল থেকে নিয়ে আছাড় মারে। এতে সুলতানা হেস্কি ছেড়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। তার ছোট মেয়ে ও সে চিৎকার দিলে স্থানীয় মোঃ রহিম, রোশনা বিবি (রুহি), মোঃ হোসেন ও আশপাশের লোকজন আগাই আসিলে মোশারফ হোসেন মাঝি গংরা ভিকটিম রিনা বেগমদের ৩টি গরু নিয়া চলে যায় এবং বলে – থানা পুলিশ করিলে তোদের বাড়ীতে সবাইকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবো। তাদের আঘাতে ভিকটিম রিনা বেগম এর ৪ (চার) মাসের গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। ভিকটিমকে অজ্ঞান ও রক্তাক্ত অবস্থায় মাইজদী ডেল্টা হেলথ কেয়া হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা আলিম জান (৫৭) বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

এলাকাবাসী জানায়, মোশারফ হোসেন মাঝিগংদের নিকট হতে ভিকটিম রিনা বেগমের পিতা আলা উদ্দিন ইট ভাটার দাদনের টাকা গ্রহণ করে সে আত্মগোপনে চলে যান। ঘটনার দিন মোশারফ হোসেন মাঝি গংরা আলা উদ্দিনকে খুঁজতে তাদের বাড়িতে গেলে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।

আরও পড়ুন