• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২ ডিসেম্বর, ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট : ২ ডিসেম্বর, ২০২৩

মাইজদীতে বিশ দিনব্যাপী ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা’ শুরু

উপজেলা প্রতিনিধি, সদর : জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ২০ দিনব্যাপী ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা’ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সাথে জাতীয় পতাকা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার মোজাম্মেল হক মিলন।

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ এম খাইরুল আনম চৌধুরী সেলিম, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা পরিষদের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য সচিব আ ন ম জাহের উদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুর করিম বাচ্চু, সহ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মিন্টু, নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি বখতিয়ার শিকদার, সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের মঞ্জু, মেলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন প্রমুখ।

বক্তাগণ নতুন প্রজম্মের সামনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরার প্রত্যয়ে ১৯৯২ সাল থেকে শুরু করা মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। এছাড়াও নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অসাম্প্রদায়িক সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করার আহবান জানান।

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বিদ্রোহী বাঙালির জয়—এই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার স্লোগান। এ স্লোগানের ভেতর রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বাঙালিয়ানার আনন্দ-বেদনার মহাকাব্য।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের ঘাতকদের বিচারের দাবিতে সারাদেশ তখন শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গঠিত গণআদালতই মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা শুরুর ক্ষেত্রে মূল সূতিকাগার, অনুপ্রেরণা। ১৯৯২ সাল থেকে নোয়াখালীতে অনুষ্ঠিত হওয়া মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা এই আন্দোলনকে প্রণোদিত করার আরও একটি কারণ।

আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা ১ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২০ দিনব্যাপী চলবে। প্রতিদিন মেলার মুক্তমঞ্চে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ, বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, মুক্তিযুদ্ধের কবিতা পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নাট্যানুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে।

আরও পড়ুন