• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

বেগমগঞ্জ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো অবহেলার শিকার, থাকেনা ডাক্তার স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ

মোস্তফা কামাল স্বপন, উপজেলা প্রতিনিধি, বেগমগঞ্জ : জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলাধীন ইউনিয়ন ভিত্তিক গড়ে উঠা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো অবহোর শিকার হয়ে উন্নয়নের ছোঁয়া না লাগায় সাধারণ মানুষ প্রকৃত স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছে।

থাকেনা ডাক্তার নার্স, জানাযায়, স্বাধীনতাত্তোর অসহায় মানুষের স্বাস্থ্য সেবার লক্ষে ইউনিয়ন পর্য্যায়ে বিভিন্ন সময়ে আটটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে তৎকালিন সরকার তৃণমূল পর্যায়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠির চিকিৎসার সেবার গড়ে উঠলে ও বর্তমানে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের অবহেলা ও তদারকির অভাবে ভেঙ্গে পড়েছে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা। কাগজে কলমে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে জনবল কাথলেও বাস্তবে ডাক্তার স্টাফ ডেপুটেশনে অনত্রে কাজ করছে। তেমনি বেগমগঞ্জ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও বর্তমানে উক্ত উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে যে ডাক্তারকে নিয়োগ প্রদান করা হইয়াছে তিনি আজ দীর্ঘ দেড় বছর যাবত কোন প্রকার ছুটি না নিয়ে অনুপস্থিত রয়েছে।

শুধুমাত্র ১জন সেকমো কলিরানী দাস নিয়মিত দায়িত্ব পালন করতেছেন। তেমনি আরো একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র জমিদারহাট উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র এই কেন্দ্রটি বৃটিশ শাসন আমলে প্রতিষ্ঠা হলে বর্তমানে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটির অবস্থা একেবারেই জরাজির্ণ জরাজীর্ণ ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন ১০০-১২০ জন রোগী সেবা নিতে আসেন ৩ জন স্টাফ রয়েছে কিন্তু মেডিকেল অফিসার ডেপুটেশনে রয়েছে। এতে প্রকৃত সেবা হইতে সাধারণ জনগন বঞ্চিত হয় বলে জানান। শরিফপুর ইউনিয়নের ছিদ্দিক নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চেকমো শামিমা জানান মেডিকেল অফিসার না থাকায় ভালো মানের চিকিৎসা সেবা দেওয়া যাচ্ছেনা। বর্তমানে ৩ জন ষ্টাফ কর্মরত আছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র হতে ১২ কিঃ মিঃ হওয়ায় রোগীর চাপ বেশি। ঔষধের চাহিদা বাড়ানো দরকার।

জিরতলী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত পরিচ্ছন্ন কর্মী নুর নবী জানান, পরিচ্ছন্ন কর্মী কাজসহ আমাকে সকল কাজ করতে হয়। এই কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসারসহ মোট ০৪জন স্টাপের মধ্যে ০৪ জনের পদই শূন্য। গড়ে মাসে ১৫০০-১৮০০ রুগি আসে আমাকে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাইতে হচ্ছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানান উল্লেখিত বিষয় স্বাস্থ বিভাগের কর্মকর্তাদেও জানানো হয়েছে। এখনো কোন ফল পাওয়া যায় নাই। তিনি এই প্রতিবেদককে জানান মেডিকেল অফিসারগণ তৃণমূল পর্য্যায়ে পোস্টিং পেলে ঘুষ দিয়ে শহরে থেকে যায়। এতে গ্রামীণ চিকিৎসা সেবা বেহত হচ্ছে। এতে সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। তেমনি আরো একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ৪নং আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার সংলগ্ন অবস্থিত উক্ত কেন্দ্র ৪ জন স্টাফ নিয়োগ থাকলেও একমাত্র জাড়ুদার ব্যতিত আর কাউকে কেন্দ্রে পাওয়া যায় নাই।
উক্ত কেন্দ্রের এলাকার বাসিন্দারা জানান আগে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দৈনিক ২০০-২৫০ জন রোগী চিকিৎসার জন্য আসতো।

বর্তমানে ডাক্তার ও স্টাফ না থাকায় গরীবরোগীরা প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোতে চিকিৎসার জন্য চলে যায়। এতে গরিব অসহায় মানুষের সাধ্যের চিকিৎসা সেবা চলে যায়। এই এলাকার বাসিন্দা নিজাম উদ্দীন জানান, সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষের রহস্যজনক ভ’মিকার কারণে বর্তমানে সরকারে স্বাস্থ্য খ্যাতের লক্ষ্য অর্জনে ব্যহৃত হচ্ছে। বেগমগঞ্জবাসী এই অনিয়ম অব্যবস্থাপনা প্রতিকারের সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মহা-পরিচালকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এই বিষয়ে নোয়াখালী সিভিল সার্জনকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায় নাই। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অসিম কুমার দাসকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান সবকিছুই ঠিকঠাক আছে ১ জন মেডিকেল অফিসার প্রবাসে চলেগেছেন ছুটি না নিয়ে বিষয়টি লিখিত ভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন