• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩

মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে আওয়ামীলীগকে বাঁচাতে হবে – ওবায়দুল কাদের

উপজেলা প্রতিনিধি, কোম্পানীগঞ্জ : বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারী ফাইনাল খেলা হবে। ১৮৯৬ জন খেলোয়াড় নিয়ে ফাইনাল খেলা হবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে নির্বাচনকে বাঁচাতে হবে, মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে আওয়ামীলীগকে বাঁচাতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে যারা বাধা দিবে তাদের খবর আছে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতিপক্ষ প্রার্থী যতই ছোট-বড় হোক তাদের সাথে ভালো আচরণ করবেন। হুমকি ধমকি দিবেন না। আগামী ৭ তারিখে দলে দলে এসে আপনাদের মূল্যবান ভোট প্রদান করবেন, এটা আমার অনুরোধ।
তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর মির্জা ফখরুল, আমির খসরু ও মির্জা আব্বাস মঞ্চে বসা ছিল। ৩৪ জন সাংবাদিককে পিটিয়েছে, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে, পুলিশ হত্যা করেছে। তারা ফৌজদারি অপরাধ করেছে, তারা জেলে থাকবে না কে থাকবে?
তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে যারা ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটাচ্ছে, গাড়ি পুড়াচ্ছে, গাড়িতে ঘুমন্ত হেলপারকে ঘুমন্ত অবস্থায় আগুন দিয়ে হত্যা করেছে, ট্রেনে আগুন লাগিয়ে মায়ের কোলে শিশুসহ ৪জনকে পুড়িয়ে মেরেছে, তাদের ক্ষমা নেই।
ওবায়দুল কাদের শুক্রবার তাঁর নোয়াখালী-৫ নিজ নির্বাচনী এলাকায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন। কোম্পানীঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জার সভাপতিত্বে এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী মোঃ ইব্রাহীম, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ফখরুল ইসলাম রাহাত, বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল খায়ের, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম তানভীর প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ২৮ তারিখ ভূয়া, আন্দোলন ভূয়া, ধর্মঘট ভূয়া, তারা সব ক্ষেত্রে ফাউল করে লাল কার্ড পেয়েছে। তারা এখন কি করবে।
তিনি বলেন, বিএনপিতে নেতৃত্ব দেওয়ার মত একজনও ভালো নেতা নেই? তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া দন্ডিত, তারেক রহমান টেমস্ নদীর পাড়ে বসে লম্বা লম্বা কথা বলছে। ট্যাক্স ফাঁকির দায়ে তার সাজা হয়ে গেছে। সে দন্ডিত ও দূর্ণীতিগ্রস্থ ব্যক্তি। সেখান থেকে বসে অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেয়। জনগণ তাদের এ আন্দোলনে সাড়া দিবে না। তাদের অসহযোগ আন্দোলনের কথা শুনে ঘোড়ারও হাসি পায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, শেখ হাসিনার কর্মী। আমরা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কোন অপশক্তিকে ভয় করি না। তিনি আবারও বলেন খেলা হবে, ৭ তারিখে সকাল বিকাল খেলা হবে, দুর্ণীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে, ভোট চোরদের বিরুদ্ধে খেলা হবে, লুটেরাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। আমার দলের নেতাকর্মীরা দেশের জন্য জীবন দিতে সদা প্রস্তুত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে জননেত্রী শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। নেত্রী গোলপগঞ্জে গেছেন, সিলেট সফর করেছেন। সিলেটে জনসভা করেছেন। সেখানে সরকারী কর্মকর্তাদের প্রটকল নেন নাই। গাড়ীতে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করেন নাই। তিনি নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্গন করেন নাই, আচরণ বিধি মেনে তিনি তার নির্বাচনী সফর সম্পন্ন করেছেন। আমিও আজকে আমার সফরে নির্বাচনী এলাকায় পথ সভায় গাড়ীতে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করি নাই।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারাও নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্গন করবেন না। ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্রস ড্যাম নির্মাণ, নোয়াখালী খাল খনন, নোয়াখালী-৫ নির্বাচনী এলাকায় বেকার ছেলে-মেয়েদের চাকুরীর জন্য হয়ত আল্লাহ আমাকে বেঁচে রেখেছেন। আমি আগামী ৭ জানুয়ারী পুনরায় এমপি নির্বাচিত হলে এগুলো শেষ করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাব।

আরও পড়ুন