![দৈনিক নোয়াখালীর কথা]( https://dailynoakhalirkatha.com/wp-content/uploads/2023/04/logo-noyakhali.png )
মোহাম্মদ আমান উল্যা, উপজেলা প্রতিনিধি, চাটখিল : চাটখিলে কয়েকদিন ধরেই বেড়েছে শীতের প্রকোপ। দিনে মেঘলুপ্ত সূর্যের লুকোচুরি আর রাতে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। ঋতু বৈচিত্র্যের এই খেলা বেশ কিছুদিন ধরেই দেখছে এ অঞ্চলের মানুষ। তবে শীত আরও বাড়তে পারে বলে জানালো আবহাওয়া অফিস।
এদিকে, হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যপ্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো। দিনের বেলায় হেড লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। কনকনে ঠান্ডায় ঘর থেকে বের হতে পারছেন না খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের প্রভাবে হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। যার মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি।
শীত বেশি অনুভূত হওয়ায় এবং শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত থাকায় মানুষ শহরের পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে সারাদিন ভিড় জমায়। বেচাকেনাও হয় বেশ। সন্ধ্যার পরও দোকানগুলো থেকে ক্রেতাদেরকে হাতের ও পায়ের মোজা, মাফলার, টুপি, কানটুপি জাতীয় কাপড় কিনতে দেখা যায়।
শীতের কাপড় কিনতে আসা মাহি, মাইদুর রহমান , মাশফিকুর রহমান, সুফল, রাহিসহ অনেকে নোয়াখালীর কথাকে বলেন, বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। তাই পরিবার নিয়ে ঠান্ডা নিবারণের জন্য শীতের কাপড় কিনতে চাটখিল পৌর বাজারে বের হয়েছি। পৌরসুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী দোকানদার জিরো পয়েন্ট এর মালিক আকিব নোয়াখালীর কথাকে জানান, বেশ কয়েকদিন যাবত তীব্র শীত অব্যাহত থাকায় বেশ বিক্রি হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে বেচাবিক্রি ভালো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও শীতকে উপেক্ষা করে রাতের বেলায় লাইট জ্বালিয়ে বিভিন্ন স্থানে ব্যাটমিন্টন, শর্টপিছ ক্রিকেট টুনামের্ন্ট এবং ফুটবল খেলার আমেজ দেখা যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :