• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি, ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট : ১৩ জানুয়ারি, ২০২৪

আরও দুদিন থাকতে পারে তীব্র শীত, আসছে বজ্রসহ বৃষ্টি

সারা দেশে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। ঘন কুয়াশায় মিলছে না রোদের দেখা। তাই দিন ও রাতের তাপমাত্রা থাকছে একইরকম। তবে এই তীব্র শীত থাকতে পারে আরও দুই থেকে তিন দিন। হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সংস্থাটি বলছে, এই তীব্র শীত আরও দুই থেকে তিন দিন থাকতে পারে। এরপর ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি আকাশ মেঘলা থাকবে। বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির পর আবার তীব্র শীত নামবে। মাসের বাকি সময় থাকতে পারে তীব্র শীত। এ সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চল, সিলেট, যশোর ও চুয়াডাঙ্গাজুড়ে বয়ে যেতে পারে শৈত্যপ্রবাহ।

দেশের চার জেলা কিশোরগঞ্জ, পাবনা, দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ (তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যাচ্ছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সারা দেশে তীব্র শীতের প্রধান কারণ শৈত্যপ্রবাহ নয়। মূল কারণ হলো দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়া।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলীতে, ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ ছিল টেকনাফে ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ রংপুরে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য মাত্র আড়াই ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের বেশির ভাগ এলাকা জুড়ে একই ধরনের আবহাওয়া পরিস্থিতি রয়েছে। ফলে এসব এলাকায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ শনিবারও সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকবে। ফলে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে। কিশোরগঞ্জ, পাবনা, দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় যে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আরও পড়ুন