• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি, ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট : ২১ জানুয়ারি, ২০২৪

চিকিৎসক-গৃহবধূর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ চাঁদাবাজি, কারাগারে ২

উপজেলা প্রতিনিধি, সদর : সদর উপজেলায় পল্লী চিকিৎসক ও গৃহবধূর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে চাঁদাবাজি করায় মো. আফনান হোসেন শুভ (২০) ও মো. রুহুল আমিন (৩৫) নামে দুই বখাটেকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন। এর আগে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীপুর গ্রামের কালা মিয়া মুন্সি বাড়ির সামনে থেকে তাদের আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

কারাগারে প্রেরণকৃতরা হলেন, নোয়াখালীর সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীপুর গ্রামের আবদুর রহমান মিস্ত্রি বাড়ির মো. হারুনের ছেলে মো. আফনান হোসেন শুভ ও একই গ্রামের নোমান হুজুরের বাড়ির মৃত আহাম্মদ উল্যাহর ছেলে রুহুল আমিন।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারী পল্লী চিকিৎসক মো. ইউসুফ সজিব (২৯) গত ৩ ডিসেম্বর রাতে ফার্মেসী থেকে ফেরার পথে প্রতিবেশী গৃহবধূর (১৯) অসুস্থ ছেলের জন্য ওষুধ দিতে গেলে এলাকার বখাটে আফনান হোসেন শুভ (২০), মো. রুহুল আমিন (৩৫) ও মো. সোহেলসহ (২৪) অজ্ঞাত ৩-৪ জন চিকিৎসক ও গৃহবধূকে আটক করে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন। পরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয় এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে দফায় দফায় চার লাখ ১১ হাজার টাকা আদায় ও তিন আনা ওজনের একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। বখাটেরা আরও চাঁদা দাবি করলে পল্লী চিকিৎসক মো. ইউসুফ সজিব জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আক্তার হোসেন অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীপুর গ্রামের কালা মিয়া মুন্সি বাড়ির সামনে থেকে তাদের আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ধারণকৃত আপত্তিকর (পর্নোগ্রাফি) ভিডিওসহ দুটি মোবাইল ফোন, চাঁদাবাজির নগদ ১০ হাজার টাকা ও এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল উদ্ধার করা হয়।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় পর্নোগ্রাফিসহ চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় তাদের জেলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।

আরও পড়ুন