![দৈনিক নোয়াখালীর কথা]( https://dailynoakhalirkatha.com/wp-content/uploads/2023/04/logo-noyakhali.png )
উপজেলা প্রতিনিধি, সদর : চলতি বছরে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি ৮ সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি ৮ সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। সোমবার (২২ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
জেলা শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকে কুয়াশার ঘনত্ব বেশি থাকায় যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হয়। ফলে গাড়িগুলোকে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা যায়। এ কারণে সকাল থেকে শহরসহ জেলার সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলা ও দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল রয়েছে সীমিত। স্থানীয়ভাবে রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশা চলাচলও রয়েছে সামান্য।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শাখার চালক মো. ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ভোর থেকেই ঘন কুয়াশা। এত কুয়াশা আমি আর কখনো দেখি নাই। কুয়াশায় গাড়ির একটু সামনেই দেখা যাচ্ছেনা তাই হেড লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশা কমতে শুরু করছে।
পৌর শহরের রিকশাচালক আলা উদ্দিন বলেন, রিকশা না নিয়ে বের হলে পেট চলবে না। আমার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে। এই রিকশা চালিয়ে ৬ সদস্যের পরিবার চালাতে হয়। তাই প্রতিদিন খুব ভোরেই রিকশা নিয়ে শহরে আসি। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে যাত্রীরা ঘর থেকে বের হয়নি।
সুবর্ণচর উপজেলার কৃষক আমির হোসেন বলেন, কুয়াশার জন্য জমিতে যেতে পারছিলাম না। তারপরও দেখে আসছি আবাদি জমি গুলো। ঘন কুয়াশায় সরিষা ও মুগডাল দেখতে অসাধারণ লেগেছে। তবে কুয়াশা অব্যহত থাকলে আমাদের ফসলের ক্ষতি হতে পারে।
জেলার সদর থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী লাল সবুজ পরিবহনের চালক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ঘন কুয়াশার মধ্যে গাড়ি চালানো ঝুঁকি, তাই ঝুঁকি এড়াতে গাড়ির হেড লাইট জ্বালিয়ে চালাতে হচ্ছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নোয়াখালীতে গতকাল সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও আজ আবার কমেছে। সপ্তাহের শেষের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি মনে করি প্রতিটি সচ্ছল মানুষের উচিত শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। শীতে যেন কোনো অসহায় মানুষ কষ্ট না পায় সেজন্য আমাদের সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ কম্বল বিতরণ করছেন। এ ছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকেই শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :