• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা, গ্রেপ্তার ৫

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, নোবিপ্রবি : জেলা শহরে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থী শামীম আহমেদের উপর হামলার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলা শহরের হাউজিং এলাকায় তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নোয়াখালী পৌরসভার মো. আমির হোসেনের ছেলে মো. রাব্বি (২৮), মো. আব্দুর রহিমের ছেলে রনি (২৪), মৃত মোশারেফ হায়দারের ছেলে রাফসান (২০), কৃষ্ণরামপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে অধির (১৮) ও ফকিরপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে শাওন (১৮) র‍্যাব-১১ সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শামীম আহমেদ (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় হাউজিং এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত হয়েছেন। মূলত শামীম ও তার এক মেয়ে সহপাঠীদের নিয়ে হাউজিং এলাকায় মেস ভাড়ার খোঁজে বের হয়েছিলেন। এ সময় তাদের (শিক্ষার্থীদের) পিছু নেয় স্থানীয় কিশোর গ্যাং। এক পর্যায়ে মেয়ে শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করলে এর প্রতিবাদ করেন শামীম। আর উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় কিশোর গ্যাংয়ের ৬-৭ জনের দল শামীমের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় গুরুতর আহত হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য তাকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঘটনার পর হতে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল ঘটনা সংঘটনকারীদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে ছায়া তদন্ত আরম্ভ করে। পরবর্তীতে র‍্যাব-১১ এর চৌকস আভিযানিক দল যৌথভাবে গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে হাউজিং এলাকা থেকে ৫ কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা বর্ণিত ঘটনার কথা স্বীকার করে।

র‍্যাব-১১ সিপিসি-৩ নোয়াখালীর স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কিশোর গ্যাং সদস্য রাব্বি (দলনেতা), রনি, অধির, শাওন ও রাফসান দীর্ঘদিন যাবত মাইজদি ও তার আশেপাশের এলাকায় মারামারি, দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ নানাবিধ অপরাধ মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম আহমেদকে মারধরের বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন