• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সরকারি ভাতা দেওয়ার কথা বলে টাকা নিলে আল্লাহর গজব পড়বে-এমপি ইব্রাহিম

উপজেলা প্রতিনিধি, চাটখিল : দ্বাদশ জাতীয় সংসদের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম এমপি বলেছেন, সরকারি ভাতা দেওয়ার কথা বলে টাকা নিলে আল্লাহর গজব পড়বে। এই টাকা দিয়ে যদি সন্তানদের পড়ালেখা করান তাহলে সেই সন্তান মানুষ হবে না।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সোনাইমুড়ী উপজেলার সকল সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিগণ, উপজেলা ও ইউনিয়নের সাবেক-বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারগণ, কলেজ অধ্যক্ষ, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ এবং ইউপি সচিবদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এমপি ইব্রাহিম বলেন, আমার কাছে এক ৭৫ বছরের উপরে এক বৃদ্ধা আসছে তার বয়স্ক ভাতা হচ্ছেনা। তার ঘর নাই, সন্তানরা তাকে দেখে না। আমি বললাম কেনো কার্ড হচ্ছেনা? তিনি বললেন মেম্বার আমার কাছে ৩ হাজার টাকা চায়, সচিব টাকা চায়। কোন দেশে যামু আমরা। এই অসহায় মানুষের কাছে যারা টাকা চায় তারা ত মানুষ না।
এমপি ইব্রাহিম আরও বলেন, সরকারি ভাতা দেওয়ার কথা বলে টাকা নিলে আল্লাহর গজব পড়বে। এই টাকা দিয়ে যদি সন্তানদের পড়ালেখা করান তাহলে সেই সন্তান মানুষ হবে না। টাকা খাওয়ার অনেক রাস্তা আছে। যে বয়স্কভাতা খাবে, বিধবা ভাতা খাবে, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা খাবে তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে সন্তানকে খাওয়াবেন সেই সন্তান মানুষ হবে না। আমি বলসি ওই মহিলাকে উপজেলা পরিষদে আসবেন সবার মুখোমুখি করাবো ওই মেম্বার সচিবকে।

মায়ের ভাতার টাকা আত্মসাৎ করায় আমি এক সন্তানকে কারাগারে পাঠিয়েছি উল্লেখ করে এমপি ইব্রাহিম বলেন, এক মা আমাকে অভিযোগ করেছেন তার নাকি বয়স্ক ভাতা বন্ধ। আমি খবর নিয়ে জানতে পারলাম তার ছেলে মায়ের টাকা গুলো তুলে নেয়। আমি পুলিশের মাধ্যমে খবর নিয়ে তার মায়ের কথা অনুযায়ী তাকে কারাগারে পাঠিয়েছি। বর্তমানে এসব অসহায় মানুষের ভাতার টাকা তুলে নেয় একটা চক্র। আমি বলতে চাই গরীবের টাকা খেয়ে এই দুনিয়ায় পার হতে পারলেও আখেরাতে বহুগুণে ফেরত দিতে হবে।

এমপি ইব্রাহিম আরও বলেন, কিশোর গ্যাং, ইভটিজিং, মাদক, যানজট, চাঁদাবাজি আমাদের উপজেলার প্রধান সমস্যা। তাই সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে এসবের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখতে হবে। আমরা চাই স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট উপজেলা। ফসলি জমির মাটি কাটায় আমাদের এই এলাকার নতুন রাস্তা গুলো নষ্ট হয়ে যায়। আমরা ভোটের জন্য অনেকের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারি না। ভোট কমে যাওয়ার ভয়ে। আমি বলবো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ত এসবের ভয় নাই। আপনারা কাজ করে যান আমি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিন মিয়ার সঞ্চালনায় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কানিজ ফাতেমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুমিনুল ইসলাম বাকের, সাধারণ সম্পাদক আফম বাবুল বাবু, সোনাইমুড়ী পৌরসভার মেয়র নুরুল হক চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান ভিপি মাহফুজুর রহমান বাহার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অন্ষ্ঠুানে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিগণ, উপজেলা ও ইউনিয়নের সাবেক-বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারগণ, কলেজ অধ্যক্ষ, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ এবং ইউপি সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন