• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮ মার্চ, ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট : ৮ মার্চ, ২০২৪

মাইজদীতে কমিউনিস্ট পার্টির ৭৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

উপজেলা প্রতিনিধি, সদর : মাইজদীতে নানা আয়োজনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ৭৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে মাইজদী সমবায় মার্কেটে অবস্থিত সিপিবি জেলা কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে একটি লাল পতাকা মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সভায় বক্তারা বলেন, দেশের কৃষক-শ্রমিক-ক্ষেতমজুর-নারী-ছাত্র-যুবক-শিক্ষক-বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।
আশা ছিল দেশবাসী অপশাসন-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তি পাবে। একটি অসাম্প্রদায়িক শোষণ মুক্ত বাংলাদেশে পূর্ণ মৌলিক অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকবে। সে লক্ষ্যেই ১৯৭১ এর শাসনতন্ত্রে চার মূলনীতি সন্নিবেশিত হয়। কিন্তু দেশ আজ আমাদের স্বাধীনতার শত্রু আমেরিকা সাম্রাজ্যবাদসহ দেশী-বিদেশী চক্রান্তের শিকার। পুঁজিবাদের জঘন্য ষড়যন্ত্রে জনজীবনে দুঃখ-কষ্ট-বঞ্চনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শোষক আর শোষিতের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। তাই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য শক্তিশালী বামগণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তি গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।

এসময় বক্তারা বলেন, কমিউনিস্ট পার্টি গরীব মেহনতি মানুষের পার্টি, পাকিস্তান শাসন আমলে গণতন্ত্রের লড়াই, সামরিক আইন বিরোধী লড়াই এবং গরীব মেহনতি মানুষের দাবি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছে। ১৯৫২ সালের ভাষার লড়াই, ৫৪ র যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ৬২’র ছাত্র আন্দোলন, ৬৯’র গণ অভ্যুত্থ্যান এবং ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে আপোষহীন ভুমিকা পালন করেছে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি, ছাত্র ইউনিয়নের বিশেষ গেরিলা বাহিনী বুকের তাজা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। স্বাধীনতার পর বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগের পর বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি আওয়াজ তুলেছিল ‘ইয়ে আজাদী ঝুঠা হ্যায় লাখো ইনসান ভুখা হ্যায়’।
তারা আরও বলেন, এই পাকিস্তান টিকবেনা। পাকিস্তানের মুসলিম লীগ সরকার কমিউনিস্ট পার্টি কে বেআইনি ঘোষণা করে রেখেছিলো এবং হাজার হাজার কমিউনিস্ট নেতাকে বিনা বিচারে জেলখানায় আটক রেখেছে। প্রায় ১০০ জন কমিউনিস্ট নেতাকে হত্যা করেছে। ১৯৫০ সালে ২৪ এপ্রিল রাজশাহী জেলখানার খাপড়া ওয়ার্ডে বন্দি অবস্থায় ৭ জন কমিউনিস্ট নেতাকে হত্যা করেছে। এছাড়াও ৫০ জনকে গুরুতর ভাবে আহত করেছে। জেল, জুলুম হত্যা করে কমিউনিস্ট পার্টির অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করতে পারে নাই। কমিউনিস্ট পার্টি পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থার কবর রচনা করে, সমাজতন্ত্র সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠা করতে অঙ্গিকার বদ্ধ।

নেতারা বলেন, দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি-মানুষ দিশেহারা, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ি, দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিচ্ছে। দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি কমানোর জন্য নেতারা জোর দাবি জানান।

কমরেড শহীদ উদ্দিন বাবুলের সভাপতিত্বে কমরেড ডাঃ আবু তাহের ভূঁঞার সঞ্চালনায় কমরেড মোল্লা হাবিবুর রাছুল মামুন, কমরেড মজিবল হক মজিব, কমরেড অজয় কুমার আচার্য, কমরেড এডভোকেট প্রদ্যুৎ কান্তি পাল, কমরেড মুহাম্মদ আলমগীর, কমরেড তপন ঘোষ, কমরেড শংকর ভৌমিক, কমরেড বিমল মজুমদার, কমরেড আবু নাছের, কমরেড মোরশেদা ডেইজী, কমরেড নূর মোহাম্মদ সহ জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ আলোচনায় অংশগ্রহন করেন।

আরও পড়ুন