• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৪ মার্চ, ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট : ১৪ মার্চ, ২০২৪

আ’লীগ নেতার বিধবা স্ত্রী-৫ মেয়ের সংবাদ সম্মেলন, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

উপজেলা প্রতিনিধি, সদর : পিতার সম্পত্তি বুঝে পাওয়া ও আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ মৃত ইউসুফ আলী সেলিমের (নিশাত সেলিম) পাঁচ মেয়ে এবং স্ত্রী। নিশাত সেলিম হত্যার ১০বছর পার হলেও এখনও তার স্ত্রী – মেয়েরা তাদের নায্য পাওনা বুঝে পায়নি।

বুধবার দুপুরে জেলা শহর মাইজদীর একটি রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে নিশাত সেলিমের তৃতীয় মেয়ে নাহিদ সাহেলা আলী লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৪ সালের ২৭ জুলাই সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন তার বাবা নিশাত সেলিম। তার মৃত্যুর পর থেকে মাইজদী, লক্ষ্মীপুর ও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পিতার রেখে যাওয়া একক এবং যৌথ কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেন তার তিন চাচা ও ফুফু। এছাড়া ঢাকার হাজারিবাগে কে টি লেদার ও নিশাত ট্যানারী নামের দুটি প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে বায়না করে পরবর্তীতে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে রেজিস্ট্রি ব্যতিত দখল হস্তান্তর করে আত্মসাৎ করেছেন।

ঢাকার হেমায়েতপুরে একটি ট্যানারী সংঘবদ্ধ চক্র ব্যবসা ও ভাড়া দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ তুলে নিশাত সেলিমের সন্তানরা আরও বলেন, তার পিতার মৃত্যুর পর ফুফু ও চাচারা মাইজদীর পুরাতন বাস স্ট্যান্ডের নিশাত প্লাজা মার্কেটের নিচতলা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। তারা দীর্ঘদিন থেকে এতিমদের হক বঞ্চিত করে মার্কেটের ভাড়া এবং এডভান্সের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করছেন।

এর বাইরে লক্ষ্মীপুরের তিতিরকান্দি, ফাজিলপুর ও কল্যানপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সম্পত্তি গত ১০ বছর ধরে তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বর্তমানে পরিবারের মা-সহ ৫ বোনকে তারা বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি দিচ্ছে। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে বাবার রেখে যাওয়া কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে গত ১০ বছর যাবত মানবেতর জীবন যাপন করার অভিযোগও করেন তারা।

এ বিষয়ে ন্যায় বিচারের আশায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মৃত আ’লীগ নেতা নিশাত সেলিমের বিধবা স্ত্রী কোহিনুর আক্তার, মেয়ে নাহিদ সালমা আলী, নাহিদ সায়মা আলী, নাহিদ সাহেলা আলী, নাহিদ সুমাইয়া আলী ও নাহিদ সাহেবা আলী।

আরও পড়ুন