• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৮ মার্চ, ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট : ২৮ মার্চ, ২০২৪

জেলাজুড়ে অরক্ষিত অবস্থায় গ্যাস সিলিন্ডার, নেই সচেনতা

জেলাজুড়ে একদিকে ফুটপাতে রেখে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। অন্যদিকে হোটেল রেস্তোরাঁগুলোতে কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র অরক্ষিত অবস্থায় ব্যবহার হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। এনিয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিক ও সাধারণ মানুষের মাঝে নেই কোনো সচেতনতা বা সতর্কতা। বাসা-বাড়িতেও একই অবস্থা। এতে রয়েছে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা। ঘটতে পারে প্রাণহানি।

জেলা শহর মাইজদীর প্রধান সড়কের পাশে প্রায় শতাধিকেরও বেশি হোটেল, রেস্তোরাঁ ও চাইনিজ রেস্টুরেন্ট রয়েছে। প্রধান সড়ক লাগোয়া এসব হোটেল রেস্তোরাঁগুলোর সামনের ফুটপাতে যত্রতত্র অরক্ষিত অবস্থায় গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে চলছে রান্নার কাজ। আবার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেদারসে বিক্রি করছে গ্যাস সিলিন্ডার। নেই কোনো সতর্কতা বা সচেতনতা। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহারে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। কিন্তু বেশির ভাগ হোটেল রেস্তোরাঁ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নেই কোনো অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থা। হাতে গোনা কয়েকটিতে অগ্নিপ্রতিরোধের সরঞ্জাম থাকলেও অগ্নি নির্বাপণ বিষয়ে নেই কোনো ধারণা।

পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝেও নেই অগ্নিঝুঁকি ও অগ্নি নির্বাপণ বিষয়ে সচেতনতা বা সতর্কতা। তবে সাধারণ মানুষের দাবি সরকার থেকে যথাযথ তদারকির মাধ্যমে যত্রতত্র অরক্ষিত অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস ব্যবহারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। বিশেষ করে মেয়াদোত্তীর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার না করতে ব্যবসায়ীদের সচেতন করা।

জেলা শহরে একটি চাইনিজে পরিবার নিয়ে খেতে আসা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, বাচ্চারা বায়না ধরেছে বাইরে খাবে। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কথাটি আসলে এভাবে কখনো চিন্তা করিনি। প্রতিষ্ঠানের উচিত গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের বিষয়ে আরও সর্তক হওয়া এবং অগ্নি নির্বাপণের দিকে নজর দেওয়া। আরমান নামে আরেকজন বলেন, শহরের প্রধান সড়কের পাশে হোটেলগুলোতে খুবই জনসমাগম থাকে। এসব হোটেলগুলোতে প্রকাশ্যে অসতর্কভাবে ব্যবহার হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। পাশেই দাঁড়িয়ে মানুষ ধুমপান করছে। যে কোনো মুহূর্তেই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

নুরুল হক নামে একজন ব্যবসায়ী বলেন, আমার দোকানের পাশেই আরেকটি দোকানে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। তাদেরকে সর্তকতার সাথে ব্যবহার করতে বলেছি। এই দোকানে যদি আগুন লাগে তাহলে আশপাশের প্রায় শতাধিক দোকানে তা ছড়িয়ে পড়বে। ঘটতে পারে প্রাণহানিও। গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ী রায়হানুল আমিন বলেন, আমরা নিয়ম কানুন মেনে ব্যবসা করছি। দোকানে অগ্নি প্রতিরোধক ব্যবস্থা রয়েছে। তারপরও আমরা সতর্ক থাকি।

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো.ফরিদ আহমেদ বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করছে তাদেরকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। আমরার প্রতিনিয়ত তাদেরকে এ বিষয়ে মনিটরিং করছি। তাদেরকে সচেতন হওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার ও অগ্নি নির্বাপণের বিষয়ে আমাদের কার্যক্রম আরও বেগবান করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জেলা শহরের একই পরিবারের মা ও দুই শিশু সন্তানসহ ৫ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫ শিশুসহ ৯ জন অগ্নিদগ্ধ হয়। পরবর্তীতে দগ্ধ ওই ৫ শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

আরও পড়ুন