![দৈনিক নোয়াখালীর কথা]( https://dailynoakhalirkatha.com/wp-content/uploads/2023/04/logo-noyakhali.png )
উপজেলা প্রতিনিধি, সদর : সদর উপজেলায় গৃহবধূ মারজান আক্তারের একসঙ্গে জন্ম নেওয়া তিন সন্তানের হাসপাতালের বিল নিয়ে চিন্তায় দিনমজুর বাবা আবু বকর ছিদ্দিক পিয়াস। রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে জেলা শহরের আমেরিকান স্পেশালাইজড হসপিটাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র নিতে তাদের ৬৫ হাজার টাকার বিল দিতে বলেন। এর আগে গত ৯ মার্চ (শনিবার) সকালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিন শিশুর জন্ম হয়। নবজাতক দুই মেয়ে ও এক ছেলে। তাদের নাম রাখা হয়েছে- ইয়াশ, আয়েশা ও তানিশা।
গৃহবধূ মারজান আক্তার নোয়াখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মাছুমপুর গ্রামের আবদুস সাত্তারের বাড়ির আবু বকর ছিদ্দিক পিয়াসের স্ত্রী।
এদিকে, তিন সন্তানের জন্য যেমন খুশিতে আত্মহারা তাদের পরিবার ঠিক তেমনি কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে তাদের বাবার। এমনকি হাসপাতালের বিল মেটানোর মতো অবস্থা তার নেই বলে জানান দিনমজুর আবু বকর ছিদ্দিক পিয়াস।
তিনি বলেন, আমি একটা ভাতের হোটেলে কাজ করি। যেদিন কাজ থাকে সেদিন টাকা পাই। যখন কাজ থাকে না তখন বসে থাকি। বর্তমানে রমজান মাস তাই ভাতের হোটেলও বন্ধ। তিন সন্তানের মুখ দেখে খুব খুশি হয়েছি। যা টাকা ছিল সিজার অপারেশন করার আগে ওষুধ ও বিভিন্ন সামগ্রী কিনতেই শেষ হয়ে গেছে। ক্লিনিকের বিল ৬৫ হাজার টাকা দিতে হবে। সেটা কীভাবে দেব, এটা নিয়ে চিন্তায় পড়েছি। আমার স্ত্রীর ইনফেকশন হয়েছে।
প্রসূতির মা শিল্পী বেগম বলেন। আমার মেয়ের প্রথম সন্তান ওসমান গনি দেড় বছরের মাথায় পানিতে পড়ে মারা গেছে। তারপর মেয়ের এক সঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। আমরা খুব খুশী। আমরা গরিব মানুষ। তাই হাসপাতালের বিল দিতে পারছিনা।
আমেরিকান স্পেশালাইজড হসপিটালে ব্যবস্থাপক কঙ্কন পাঠক বলেন, ৯ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল৷ এতে বিল হয়েছে ৮৫ হাজার টাকা। হাসপাতাল ছাড় দিয়ে ৬৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। আসলে আমরাও জানি তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না। কিন্তু তিনটা নবজাতক হওয়ায় বিল টা বেড়ে গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :