![দৈনিক নোয়াখালীর কথা]( https://dailynoakhalirkatha.com/wp-content/uploads/2023/04/logo-noyakhali.png )
উপজেলা প্রতিনিধি, সদর : জেলায় সরকারি নির্ধারিত মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারদর যাচায়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে প্রশাসন। শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে জেলা শহরের পৌর বাজারে অভিযানে যান প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত) আহসান হাফিজ। এসময় অতিরিক্ত দামে গরুর মাংস বিক্রি করায় ৬৬৫ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করতে এক সপ্তাহ সময় বেধে দেন তিনি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীর নয় উপজেলায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। এসময় নির্ধারিত দামে বিক্রি না করলে জরিমানাও করা হচ্ছে। অভিযানের খবরে প্রায় জায়গায় দ্রব্যমূল্যের দাম কমতে শুরু করে। তবে অভিযান শেষে ফের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে জেলা শহরের পৌর বাজারে অভিযানে যান প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত) আহসান হাফিজ। তিনি ব্যবসায়ীদের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পণ্য বিক্রয়ের আহবান জানান। এছাড়াও তিনি সকল ব্যবসায়ীকে মূল্য তালিকা দৃশ্যমান অবস্থায় ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন। কোন ব্যবসায়ী বাজারে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রয় করলে ক্রেতাদের উক্ত বিষয়টি নোয়াখালী জেলা প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানান। অভিযানে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পৌরবাজারের নিয়মিত ক্রেতা নুরুল আলম বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট আসলেই দাম কম পাই। চলে গেলে যেই সেই। যেনো চোর পুলিশ খেলা। স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি।
পৌরবাজারের ব্যবহার বিমল সাহা বলেন, আমাদের সব পণ্য অতিরিক্ত দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে তাই কম দামে বিক্রি করতে পারছিনা। বড় বড় কোম্পানী সিন্ডিকেট করছে আর দোকানী ও ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা চাই সবাই সহনীয় পর্যায়ে আসুক।
পৌরবাজারের গোশত বিক্রিতা আবুল কাশেম বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট স্যার আমাদের এক সপ্তাহ সময় বেধে দিয়েছেন। আমরা গরুর গোশত ৮০০ টাকা বিক্রি করি। আমাদের এদিক গরু পাওয়া যায় কম। উত্তরবঙ্গের গরু এখানে আসতে আসতে দাম বেশি হয়ে যায়।
জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত) আহসান হাফিজ বলেন, বেশিরভাগ দোকানেই মূল্য তালিকা নেই। ফলে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। গোশতের দোকানদারদের এক সপ্তাহ সময় দিয়েছি। তারা যদি সরকারের নির্ধারিত দামে বিক্রি না করে তাহলে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :