• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৮ মার্চ, ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট : ২৮ মার্চ, ২০২৪

৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তার ৩৭ বছর কারাদণ্ড

উপজেলা প্রতিনিধি, সদর : ১৮৬ গ্রাহকের নাম ব্যবহার করে ভুয়া ঋণের নামে ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে ইসলামী ব্যাংক রায়পুর শাখার (লক্ষ্মীপুর) ফিল্ড সুপারভাইজার নুর মোহাম্মদ বাশারকে বিভিন্ন ধারায় মোট ৩৭ বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে দুদকের জেলার স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এএসএম মোরশেদ খান এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

দণ্ডিত নুর মোহাম্মদ বাশার লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চরলরেঞ্চ গ্রামের মৃত সুজা মিয়ার ছেলে।

জানা গেছে, আসামি নুর মোহাম্মদ বাশার লক্ষ্মীপুর ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডর রায়পুর শাখায় কর্মরত থাকাকালে গ্রাহকের স্বাক্ষর জাল করে বিনিয়োগ আবেদন দিয়ে ১৮৬ জন গ্রাহকের নামে ভুয়া বিনিয়োগ সৃষ্টি করেন। পরবর্তীতে কৌশলে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন গ্রাহকের নামে বিনিয়োগ ঋণ মঞ্জুর করে নেন নুর মোহাম্মদ। বিভিন্ন কৌশলে চেক সংগ্রহ করে ১৮৬ জন গ্রাহকের নামে ৭ কোটি ৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৩৬ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন তিনি।

২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/ ৪৬৮/৪৭১ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিভিন্ন ধারায় মোট ৩৭ (সাইত্রিশ) বৎসর সশ্রম কারাদন্ড এবং ষোল কোটি যোল লাখ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক আরিফ আহম্মেদ।

জেলা দুদকের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আসামি নুর মোহাম্মদ বাশারকে ৩৭ বছরের সাজা ও ১৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। রায় ঘোষণা সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তারপর আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

আরও পড়ুন