• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট : ৬ এপ্রিল, ২০২৪

জননেতা মামুনুর রশিদ কিরনের বিরুদ্ধে মামলা, সাধারণ মানুষের ক্ষোভ

উপজেলা প্রতিনিধি, বেগমগঞ্জ : জেলার অতিহ্যবাহী চৌমুহনী বাজারের শ্রী শ্রী রাধা মাধব জিওর আখড়া (চৌমুহনী দেবালয়) মন্দিরটি প্রায় ২০০ বছর পুরানো, তাহার পরিচালনা একটি শক্তিশালী গঠনতন্ত্র রয়েছে গঠনতন্ত্র মোতাবেক প্রতি ৪ বছর অন্তর একটি ৫ সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি হবে উক্ত ৫ সদস্য বিশিষ্ট সদস্য-সহ মোট ২৫১ সদস্য বিশিষ্ট পুনাঙ্গ কমিটি করে উক্ত কমিটি মন্দিরটি ৪ বছর পরিচালনা করিবে। এই ভাবেই পরিচালিত হয়ে আসছে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই। সেরূপ বিগত ১২/১২/২০২০ইং তারিখে যথাযথ ভাবে প্রথমে ৫ সদস্য বিশিষ্ট বিজ্ঞ এডক কমিটি ও পরে বিজ্ঞ ৫১ সদস্য বিশিষ্ট বিজ্ঞ এডক কমিটি ও পরে বিজ্ঞ ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অত্র মন্দির সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনা করে আসছিল।

কিন্তু বিগত ১৪/০৫/২০২২ ইং সালে মন্দিরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর প্রস্তুতি অনুষ্ঠান চলাকালে তপন মজুমদারের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসী দ্বারা অত্র মন্দিরের সভাপতী শ্রী রতন লাল সাহাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। এবং মন্দিরে উপস্থিত অন্যান্য সদস্য ও ভক্ত বৃন্দকে অবরুদ্ধ করে পেলে। তখন তৎক্ষনিক প্রশাসনের সহায়তায় অবরুদ্ধ ভক্ত ও সদস্যগন উদ্ধার হয়। পরবর্তীতে বিরোধীয় বিষয় নিয়ে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবেলার্থে বেগমগঞ্জের মাটিও মানুষের নেতা নোয়াখালী-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মামুনুর রশিদ কিরন মহোদয় সাময়িক সময়ের জন্য বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষে ৫ সদস্যর একটি কমিটি গঠন করে দেন।

উক্ত কমিটি কাজ হচ্ছে মন্দিরের পরিচলনার গঠনতন্ত্র প্রনয়ন ও নতুন বিজ্ঞ কমিটির নিকট অতি তাড়াতাড়ি দায়িত্ব অর্পন করা। কিন্তু অস্থায়ী কমিটি নিজধন বৃদ্ধির লক্ষে মন্দিরের ঐতিহ্যের প্রতি কোনরূপ তোয়াক্কা না করে নিজেদের মতো করে মন্দির পরিচালনা করে। আসছে। এবং তারা ২ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও গঠনতন্ত্র প্রনায়ন করে নাই। তাহারা মন্দিরে বিগত ২ বছরের কোন আয় ব্যায়ের হিসাব প্রদান কওে নাই।
শ্রী শ্রী রাধা মাধব জিওর মন্দির (চৌমুহনীদেবালয়ের) অধিন প্রায় ২০০ বছরের পুরাতন শ্রী শ্রী কালীমাতা রূপি বিশাল কালি বৃক্ষ কেটে পেলার প্রায়স করে। এতে সাধারণ হিন্দু সম্প্রদায়ের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ হয়।

এছাড়া তপন মজুমদার গং কালিমাতা মন্দিরের জায়গা অপ্রতুল জেনেও তাদের ব্যক্তি স্বার্থের জন্য কালিমাতা মন্দিরের নিচতলায় মার্কেট করে নিজেদের মধ্যে ভাগ ভাটোয়ারা করে নিয়ে যায়। এতে সাধারণ ভক্তবৃন্দের পূজা আচনায় ব্যপক বিঘ্ন হয়।

তপন মজুমদার গং এর ২বছর জোর পূর্বক মন্দির পরিচালনা করে মন্দিরে বিভিন্ন খ্যাতের আয়কৃত টাকা যেমন প্রনামী বাবত প্রতি মাসে ১,০০০০০ টাকা, প্রতিবছর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানের বাবত আয় ২৫,০০০০০ টাকা।

দেখাযায় দুই বছরে (প্রনামী বাবত ২৪,০০০০০ + প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আয় ২৫,০০০০০ ী ২ = ৫,০০০০০০) মোট = ৭৪,০০০০০ চুয়াত্তর লক্ষ টাকার কোন হিসাব প্রদান করা হয় নাই। তপন মজুমদার গং মন্দিরে টাকা আত্মসাতের লক্ষ্যে ভারত থেকে বিগ্রহ আনার নাম করে মন্দিরের ক্যাশ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। অদ্যবদি বিগ্রহ আনে নাই। তপন মজুমদার গং মন্দিরের টাকা স্থায়ী ভাবে মেরে দেওয়ার লক্ষে বৈধ কমিটি ও নোয়াখালী জেলার সুনামধন্য দানবীর পরিবারের কর্ণধার জননেতা আলহাজ্ব মামুনুর রশিদ কিরন মহদয়ের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া সাধারণ হিন্দু সম্প্রদায় সহ সর্ব সাধারনের মনে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।

আরও পড়ুন