• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট : ৬ এপ্রিল, ২০২৪

জেলা জুড়ে মধ্যরাত পর্যন্ত ঈদের কেনাকাটা

উপজেলা প্রতিনিধি, সদর : আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীতে কেনাকাটা জমে উঠেছে। ক্রেতারা তাদের পছন্দ মতো পোশাকের পাশাপাশি কিনছেন অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস। ঈদ বাজার জমজমাট হওয়ায় খুশি বিক্রেতারাও। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। শপিংমলের পাশাপাশি বিক্রি বেড়েছে ফুটপাতেও। বিক্রেতারা বলছেন, রমজান মাসের অর্ধেকের পর থেকে মূলত ঈদবাজার জমতে শুরু করেছে। তারা আশা করছেন, ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে, বেচাকেনা আরও বাড়বে।
তবে ক্রেতাদের অনেকে অভিযোগ করেছেন, গত বছরের তুলনায় পোশাকের দাম বেশি। বিক্রেতারা বলছেন, বৈশ্বিক আর্থিক অবস্থার পরিবর্তনের কারণে এবার পোশাকসহ অন্যান্য জিনিসের দাম বেশি।

সরেজমিন জেলার বিভিন্ন শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতারা তাদের পছন্দ মতো পোশাক কিনতে ভিড় করছেন বিভিন্ন দোকানে। পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে জুতাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র কিনছেন। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন নারী, তরুণী ও কিশোরীরা।

সাবিনা নামে এক ক্রেতা বলেন, পরিবারের সদস্যদের জন্য শপিং করতে এসেছেন। সন্তানদের জন্য পছন্দ মতো পোশাক কিনতে চেষ্টা করছেন।

শপিং করতে আসা নীলুফার আক্তার বলেন, পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে কসমেটিকস সামগ্রী কেনার জন্য এসেছেন। সঙ্গে জুতাও দেখছেন।

ইফতেখার আহমেদ বলেন, রমজান মাসের শুরুতে বাচ্চাদের জন্য পোশাক কিনেছেন। এখন নিজের ও স্ত্রীর পাশাপাশি পরিবারের মুরব্বিদের জন্য কিনবেন।
সামিহা সাঈদ নামে তরুণী বলেন, পোশাক কিনেছেন। এখন এটার সঙ্গে ম্যাচিং করে জুতা ও অন্যান্য সামগ্রী কিনছেন।

পোশাকের দাম বেশি-ক্রেতাদের এমন অভিযোগের বিষয়ে ব্যবসায়ী টিটু মজুমদার বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রভাবে ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সব ক্ষেত্রে দামের পরিবর্তন এসেছে। আমাদের কিনতে হয়েছে বাড়তি দামে। তবে ক্রেতাদের সাধ ও সাধ্যের ভিতরে আছে, এমন দামে বিক্রি করছি।’ এই বিক্রেতা বিদ্যুতের সমস্যার কথা জানিয়ে বলেন, যেভাবে ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে, তাতে ব্যবসায়ীদের সমস্যা হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করেন তিনি।

জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। টহল পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ দায়িত্বে রয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে অপরাধী যাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সেই বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন সজাগ রয়েছে। ক্রেতারা নির্বিঘ্নে যাতে শপিং করতে পারে, সেই বিষয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন শপিংমলে পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন