• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

স্বাস্থ্য খাতে তৃতীয় স্থান অর্জনে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে সম্মাননা

মোহাম্মদ আমান উল্যা, উপজেলা প্রতিনিধি, চাটখিল : চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্বাস্থ্য সেবায় সারা বাংলাদেশে ৩য় স্থান অর্জন ও নোয়াখালীতে শ্রেষ্ঠ হয়েছে। গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূইয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্বাস্থ্য সেবায় শ্রেষ্ঠ হওয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এর আগে গত ৩০ আগস্ট নোয়াখালী সিভিল সার্জন এর পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক পেয়েছে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় খোরশেদ আলম জানা যায়, ডাঃ খন্দকার মোস্তাক আহমেদ ১৬ অক্টোবর ২০১৮ সালে যোগদানের পর থেকেই এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তার নিরলস পরিশ্রম ও সর্বাধিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিজ দক্ষতা দিয়ে চাটখিল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর প্রতিটি বিভাগের সমস্যা গুলো সমাধান করছেন। ডাক্তার ও নার্সদের উন্নত সেবার দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাবে অগ্রগতি বাড়াতে সহযোগীতা করছেন।

এছাড়াও গত কয়েক বছর থেকে সেরা টপ-১০ এ কয়েকবার স্থান পেয়েছে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সারা বাংলাদেশে একটি মডেল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভূষিত হয়েছে। করোনার মহামারীতেও এই হাসপাতাল থেকে প্রায় ৩ হাজার প্রবাসীকে গুরুত্ব সহকারে আলাদা ভাবে টিকা প্রদান করা হয়েছে। ৫০ শয্যা এই সরকারি হাসপাতালের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে যতটুকু প্রয়োজন, দক্ষতার সহিত তার চেয়েও দ্বিগুণ সেবা দিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন স্থানীয় লোকজন। ৫০ জন রোগী সিট থাকা সত্ত্বেও সেখানে অতিরিক্ত দ্বিগুন রোগী আসলে হিমসিমের মধ্যেও সেবা দিয়ে যাচ্ছে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। পর্যবেক্ষনে দেখা যায় শুধু কেবল আগস্ট মাসের রোগীর পারফরম্যান্স দেখলে বোঝা যাবে চাটখিল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বর্তমান অবস্থা যাহা প্রাইভেট হাসপাতালেও সম্ভব নয় বলে মনে করেন ডা. শহিদুল আহমেদ নয়ন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এই আগস্টে নরমাল ডেলিভারি সেবা পেয়েছে ২৬১ জন রোগী। এছাড়াও সিজারিয়ান সেকশনও ২১ জনের কম নয়, এএনসি (গর্ভবতী মায়েদের প্রসব পূর্ব সেবা) দেওয়া হয়েছে ১০২৮ জনকে। পিএসসি (গর্ভবতী মায়েদের প্রসব পরবর্তী সেবা) দেওয়া হয়েছে ৫৩০ জনকে, ৪০ বছর বয়সের উর্ধ্বে মায়েদের ভায়া ( জরায়ু মুখের ক্যান্সার) পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮৯ জনের। এছাড়াও এনসিডি কর্নারে সেবা দেওয়া হয় ৭১৪ জন, ফার্মেসী বিভাগ থেকে ঔষধ প্রদান করা হয়- ১৬০৫৭ জনকে, প্যাথলজী পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে ১৮৯৭ জনের, জরুরী বিভাগে রোগী ভর্তি হয়েছে -১৫৪৫ জন এবং বহিঃবিভাগে রোগী সেবা দেওয়ার সংখ্যা ১৫৮৭৩ তে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়াও সার্বক্ষনিক ডাক্তারের উপস্থিতি ২৪ ঘন্টা ইমারজেন্সিতে আউটস্ট্যান্ডিং সেবা, সার্বক্ষনিক প্রসুতি মায়েদের নরমাল ডেলিভারী সেবা ও সিজারিয়ান অপারেশন, ইনডোরের কোয়ালিটি সম্পূর্ণ রাউন্ড, আউটডোরে প্রতিদিন বহুসংখ্যক রোগী দেখা, ইপিআই-ভ্যাক্সিনসনে অভাবনীয় সাফল্য, এই সব কিছুর প্রতিফলনই হচ্ছে জাতীয় পর্যায় উপজেলা লেভেলে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর এগিয়ে থাকা।

মিডওয়াইফ নার্স নুসরাত জানান, ডাঃ খন্দকার মোস্তাক আহমেদ এর সহযোগীতা ও আন্তরিকতা নরমাল ডেলিভারী সেবার অনেকটা উন্নত হয়েছে। এছাড়াও সিজারিয়ান অপারেশনের আগে তেমন ব্যবস্থা ছিলনা বর্তমানে ব্যাপক ব্যবস্থা রয়েছে। চাটখিল সরকারি হাসপাতালের ইমাম মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ডাঃ খন্দকার মোস্তাক আহমেদ অত্যন্ত ভালো মানুষ। তিনি আসায় সরকারি হাসপাতাল মসজিদে এসি ও ফ্লোর মেটের ব্যবস্থা হয়েছে। তিনি আন্তরিকতার সহিত সব সময় আমাদের সহযোগীতা করেন।

আরও পড়ুন