• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতে, মিথ্যা তথ্য দেয়া হয়েছে -চেয়ারম্যান ওমর ফারুক

উপজেলা প্রতিনিধি, সুবর্ণচর : আমার জনপ্রিয়তা এবং সম্মান ক্ষুন্ন করতে মিথ্যা কথা বলে জনগনণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে, একজন চোর কখনো কোন দলের নেতা হতে পারেনা   নোয়াখালীতে যুবলীগ নেতাকে নির্যাতন শিরোনামে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত  সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন সুবর্ণচর উপজেলার ১ নং চরজব্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট ওমর ফারুক।
বুধবার বিকেল ৪ টায় নোয়াখালী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক।
সংবাদ সম্মেলনে ওমর ফারুক দাবি করেন, গত ইউপি নির্বাচনে জনগণের রায়ে পুরো দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এবং বিগত ১০ বছরে কোন উন্নয়ন না হওয়ায় জনগনই তাকে জোর পূর্বক চেয়ারম্যান হিসেবে প্রার্থী করান।  নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী তরিকুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তখন তিনি তাঁকে অনেক সম্মান দিয়েছেন। কিন্তু অল্প কিছুদিন না যেতেই তরিকুল ইসলাম তাঁর অনুসারীদের দিয়ে এলাকার চিহ্নিত চোরসহ বিভিন্ন অপরাধীদের দিয়ে দোকানপাট, বাড়িঘরে চুরিসহ নানা অপরাধ সংঘটিত করে ইউনিয়নের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অসহনীয় করে তোলেন। ইতিপূর্বে পুলিশের হাতে ধরা পড়া এক চোর আদালতে স্বীকারও করেছেন যে সাবেক মেম্বার নুরবী এবং তার অনুসারিরা প্রশ্নবিদ্ধ করতে তাঁরা চুরির করছেন
চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের দাবি, পিটুনিতে আহত মো. হোসেনকে চর জব্বর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর সেখান থেকে একদল লোক ছিনিয়ে নিয়ে যান। এরপর জেলা সদরের হাসপাতালে নিয়ে তাঁকে দিয়ে পায়ে গুলি করার গল্প সাজিয়ে গণমাধ্যমের কাছে প্রচার করেন। প্রকৃতপক্ষে গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিংবা তাঁর প্রাইভেট কারে করে তিনি মো. হোসেনকে তুলে নেননি। এসব তথ্য তাঁকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য ছড়ানো হয়েছে। তাই তিনি পুরো ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।
এডভোকোট ওমর ফারুক বলেন, গত কয়েক মাস ধরে  তাঁর চরজব্বর  ইউনিয়নে বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটে। ওই সব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার চেউয়াখালী এলাকার বাসিন্দারা মো. হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেন। আটকের পর লোকজনের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এরপর লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে পিটুনি দিয়ে আটকে রাখেন। পরে খবর পেয়ে তিনি চৌকিদার পাঠিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান।
মো. হোসেন কখনো যুবলীগ করতেন কি না, তা তাঁর জানা নেই বলেও দাবি করেন ওমর ফারুক।
তিনি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন করার জন্য প্রশাসন সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

আরও পড়ুন