![দৈনিক নোয়াখালীর কথা]( https://dailynoakhalirkatha.com/wp-content/uploads/2023/04/logo-noyakhali.png )
নিজস্ব প্রতিবেদক : সুবর্ণচরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তাণ্ডবে উড়ে গেছে একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি ভবন নির্মাণের দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর।
জানা গেছে, গত শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। এতে বিদ্যালয়ের পাশাপাশি, পাকা ধান, ঘরবাড়ি ও অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেদিনের ঝড়ে উড়ে যায় পশ্চিম চরজুবলী গ্রামের আবদুল মালেক উকিল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। খোলা আকাশের নিচে ক্লাস চলায় বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। শিক্ষাবর্ষের শেষ সময়ে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বার্ষিক পরীক্ষা কার্যক্রম অনিশ্চিত।
আমেনা আক্তার নামের বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, শুক্রবার ঝড় হইসে। আমাদের ধানের জমি ও বাড়ি ঘরের ক্ষতি হইসে। আমাদের বিদ্যালয়ে এসে দেখি বিদ্যালয়টি নেই। ঝড়ে আমাদের স্কুল উড়ে গেছে। খোলা মাঠে ক্লাস করতেসি। সামনে আমাদের পরীক্ষা আছে।
আবদুল্লাহ নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, সামনে আমাদের বার্ষিক পরীক্ষা। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আমাদের সামনের দিন গুলো নিয়ে সঙ্কায় আছি। ভবন নির্মাণ না হলে আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তায় আছি।খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে অসুবিধা হচ্ছে। রোদ আর গরমে বসে থাকা যায় না। আমরা একটা স্থায়ী ভবন চাই।
মো. সুমন নামের এক অভিভাবক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে পুরো স্কুলটি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। কয়েক দিনের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা। তাই এখন শিক্ষার্থীদেরকে খোলা আকাশের নিচে লেখাপড়া করতে হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের কাছে আবেদন করছি বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখার জন্য।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. পারভেজ বলেন, এই চরাঞ্চলের শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য ২০০৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। যার নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি প্রয়াত আবদুল মালেক উকিলের নামে। আমাদের বিদ্যালয়ে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ঝড়ে পুরো বিদ্যালয় উড়ে যাওয়ায় চলছে খোলা আকাশের নিচে অনিরাপদ পাঠদান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে সহযোগিতা চেয়েছি। যেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে পাঠদানে অংশ নিতে পারে।
মালেক উকিলের ছেলে ও সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার উদ্দিন খেলন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও শুধুমাত্র কালো ছায়ার হাত থাকার কারণে আমার বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি জাতীয়করণ হয়নি। অদৃশ্য শক্তি সকল ফাইল লুকিয়ে ফেলে। ঝড়ে পুরো ভবনটি উড়ে আমাদের অসহায়ত্ব বুঝিয়ে দিয়েছে। আমি ঊর্ধ্বতনকে অনুরোধ করছি বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখার জন্য এবং শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ভবন নির্মাণ করার জন্য।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল আমিন সরকার বলেন, শিক্ষা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিষয়টি দেখা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :