• ঢাকা
  • সোমবার, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট : ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

কলকাতায় শুরু হচ্ছে ইন্দো-বাংলা নোয়াখালী উৎসব

নিউজ ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় প্রথমবারের মতো আয়োজন হতে চলেছে ‘ইন্দো-বাংলা নোয়াখালী উৎসব’। আগামী ৮-১০ ডিসেম্বর তিন দিনব্যাপী এই উৎসব শুরু হবে কলকাতার সল্টলেকের পূর্বাঞ্চল সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে। এতে বাংলাদেশ থেকে দুই শতাধিক প্রতিনিধি যোগ দেবেন। যাদের মধ্যে থাকবেন সমাজের বিভিন্ন অংশের গুণী নোয়াখালীর ব্যক্তিরা। এপার বাংলা এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যোগ দেবেন আরও প্রায় ৭০০ প্রতিনিধি। উৎসবে থাকছে প্রতিদিন গুণীজন সংবর্ধনা, আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এসব আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন সংগীতশিল্পী গঙ্গাধর তুলিকা, প্রতুল মুখোপাধ্যায়রা।

রবিবার বিকালে কলকাতার গড়িয়াহাটে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন উৎসব কমিটির সভাপতি ধীরাজ মোহন চন্দ, আহ্বায়ক রক্তিম দাশ, নোয়াখালী সম্মিলনীর সম্পাদক মনোজ রায় ভৌমিক প্রমুখ।

ধীরাজ মোহন চন্দ বলেন, দুই বাংলার মানুষকে যদি একত্রিত করতে পারি, সবাই মিলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে পারি, সেটি খুব ভালো হয়। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই আমেরিকায় যেমন বঙ্গ সম্মেলন হয়, তেমনি নোয়াখালীর মানুষদের নিয়ে এই উৎসব।

আহ্বায়ক রক্তিম দাশ বলেন, গোটা বিশ্বের নোয়াখালী মানুষদের একত্রিত করতে একটা মঞ্চে নিয়ে আসার লক্ষ্যে এই উৎসব। কারণ ১৯০৫ সালে যখন বঙ্গ ভঙ্গ হয়েছিল তখন নোয়াখালীর মানুষ ঠিক করেছিল কলকাতায় নোয়াখালী সম্মিলনী করতে হবে। কারণ তারা বঙ্গ ভঙ্গ মানেননি। এ বছর কলকাতায় হচ্ছে, আগামী বছর বাংলাদেশের নোয়াখালীতে হবে।

আহ্বায়ক আরও বলেন, উৎসবে ভারত ও বাংলাদেশের বৃহত্তম নোয়াখালীবাসী ও শুভানুধ্যায়ী, সমাজসেবী মনোভাবাপন্ন মানুষেরা উপস্থিত থেকে নিজেদের মধ্যে ভাবের আদান-প্রদান ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের বৃহত্তর সম্পর্ক গড়ে তুলবে বলে আমরা আশা প্রকাশ করি।

নোয়াখালীর শিল্পদ্যোগী সুকান্তি সাহা বলেন, এপার বাংলা, ওপার বাংলা বলে কিছু নেই। আমরা যে ভাষায় কথা বলি সেটাই আমাদের বাংলা। আমার জন্মস্থান নোয়াখালী। সেই অঞ্চলের প্রসিদ্ধ লোকেরা এই উৎসবে আসবেন। তিন দিন আমরা সেই উৎসবে গা ভাসাবো।

আরও পড়ুন