• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, এক আসামির আদালতে স্বীকারোক্তি

উপজেলা প্রতিনিধি, সুবর্ণচর : সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার মেহেরাজ উদ্দিন (৪৮) নামের এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তানিয়া ইসলাম ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে সন্ধ্যায় তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

কারাগারে প্রেরণকৃত মেহেরাজ উদ্দিন সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চর কাজী মোখলেছ গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আসামি মেহেরাজ দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। পরে মামলার প্রধান আসামি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বার ও মেহরাজ উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে, নির্যাতিত শিশু আদালতে ২২ ধারায় ঘটনার বিবরণ দিয়ে জবানবন্দি প্রদান করে।

প্রসঙ্গত, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে চরওয়াপদা ইউনিয়নে চরকাজী মোখলেছ গ্রামের একটি বাড়িতে সংঘবদ্ধভাবে গৃহবধূকে ও তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। এ সময় ঘর থেকে দুটি নাকফুল, কানের দুল এবং নগদ ১৭ হাজার ২২৫ টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগীর দিনমজুর স্বামী কাজের জন্য ওই রাতে বাইরে থাকায় তিনি তার তিন সন্তানদের নিয়ে বাড়িতে একা ছিলেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এই ধর্ষণের পরিকল্পনা সাজান আসামিরা।

সুবর্ণচর উপজেলাটি গণধর্ষণের জন্য দেশব্যাপী বারবার আলোচনায় আসছে। এর আগে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিন নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস ওই দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ১৬ আসামির মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাদের অর্থদণ্ডও করা হয়।

আরও পড়ুন