• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে ধর্ষণ, আওয়ামী লীগ নেতার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

উপজেলা প্রতিনিধি, সুবর্ণচর : সুবর্ণচর উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য আবুল খায়ের মুন্সির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শুনানি শেষে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া ইসলাম আসামির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গতকাল বুধবার আদালতে ওই আসামির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চরজব্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদিন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন বলেন, আসামি মুন্সি মেম্বার বর্তমানে জেলা কারাগারে রয়েছে। রিমান্ডের অর্ডার কপি পাওয়ার পর ৪ দিন রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে চরজব্বার থানায় নেওয়া হবে।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিলো। আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। ইতোমধ্যে এ মামলায় এজাহারভুক্ত তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর কোনো আসামি নাই। এছাড়াও আলামত অর্থাৎ লুট হওয়া কানের দুল ও নাকফুল উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে চরওয়াপদা ইউনিয়নে চরকাজী মোখলেছ গ্রামের একটি বাড়িতে সংঘবদ্ধভাবে গৃহবধূকে ও তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। এ সময় ঘর থেকে নাকফুল, কানের দুল এবং নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগীর দিনমজুর স্বামী কাজের জন্য ওই রাতে বাইরে থাকায় তিনি তার তিন সন্তানদের নিয়ে বাড়িতে একা ছিলেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এই ধর্ষণের পরিকল্পনা সাজান আসামিরা।

সুবর্ণচর উপজেলাটি গণধর্ষণের জন্য দেশব্যাপী বারবার আলোচনায় আসছে। এর আগে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিন নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস ওই দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ১৬ আসামির মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাদের অর্থদণ্ডও করা হয়।

আরও পড়ুন