• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট : ৬ এপ্রিল, ২০২৪

সোনাইমুড়ীতে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা, সড়কে যানজট

উপজেলা প্রতিনিধি, সোনাইমুড়ী : ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছেন শত দোকানিরা। এতে পৌর এলাকার বাজারে যানজট নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে।

নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলা একমাত্র পৌরবাজার ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ বেশির ভাগ সড়কের ফুটপাত এখন ব্যবসায়ীদের দখলে। ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে বেচাকেনা করছেন তারা। ফুটপাতে ভাসমান ব্যবসায়ী, হকার, অবৈধ পার্কিং, অটোরিকশা ও অতিরিক্ত ইজিবাইক ইত্যাদি কারণে ব্যস্ততম রাস্তাগুলোতে দিনের বেশির ভাগ সময় লেগে থাকে যানজট।

অপরিকল্পিত সোনাইমুড়ী উপজেলার একমাত্র বাজার পৌর বাজার ফলে বিশেষ করে ব্যবস্থাপনার মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে রয়েছে সমন্বয় ও সমঝোতার অভাব। যে কারণে সোনাইমুড়ী পৌর বাজার রাস্তা ঘাট, ড্রেন, ফুটপাতের উন্নয়ন হলেও স্বস্তি মিলছে না । যানজট মুক্ত সোনাইমুড়ী গড়তে প্রয়োজন দখলমুক্ত ফুটপাত এমনটি মনে করছেন অনেকে। ফুটপাতের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য পৌরসভা ও স্থানীয় প্রশাসন মেয়র ও সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের কাছে দাবি জানান সচেতন পৌর বাসি।
পথচারী আবুল কালাম আজাদ নামে এক ব্যক্তি জানান, সোনাইমুড়ী স্পিনিং এর পোল থেকে পোস্ট অফিস পর্যন্ত দখল হয়ে গেছে ফুটপাতও। বসানো হয়েছে ফলসহ বিভিন্ন পণ্যের দোকান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কিছুদিন ভ্রাম্যমান আদাল পরিচালনা করার পর কিছুটা স্বস্তি আসলেও দুই এক ঘণ্টা পর আবার আগের মত হয়ে যায়। ফলে ব্যস্ত মোড় ঘিরে সড়কে দেখা দিচ্ছে তীব্র যানজট। বিশেষ করে রমজানে বেশি কষ্ট পোহাতে হচ্ছে উপজেলার বাসিন্দাদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ফুটপাতের ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ী। তাই ফুটপাতে বসি। মাঝেমধ্যে প্রশাসনের লোকজন আমাদের তুলে দেয়। তার পরও বসতে হয় জীবিকার তাগিদে। এতে ফুটপাত দখল হয়। তাতে কিছু করার নেই। স্থানীয়দের এগুলো সয়ে গেছে।’ তবে আমি প্রতিদিন খাজনাদি।

জেলা পরিষদের সদস্য ও সোনাইমুড়ি বণিক সমিতির সভাপতি মাহফুজুর রহমান ভিপি বাহার বলেন, সোনাইমুড়ী কলেজ গেট থেকে বাইপাস মোড়ের সড়কের দু’পাশ দখল করে বসানো হয়েছে তরমুজের কলা বিক্রেতাদের দখলে মাঝে মাঝে সবজির দোকান। তবে সড়কে ইজিবাইক জননী বাস স্ট্যান্ড এবং স্বাধীন বাস স্ট্যান্ড সিএনজি স্ট্যান্ড মাঝে মাঝে ট্রাক লোড আনলোড করার কারণে দিনের বেলায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ এবং অফিস খোলা থাকলে যানজট সমস্যা আরও প্রকট হয়। কিন্তু প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

তিনি আরো বলেন বাজারের মধ্যখানে কিছু অটোরিকশা এবং ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের কারণে যানজট সৃষ্টি হয়।কিছুদিন পর পর আমরা অভিযান পরিচালনা করি আগামী দিনেও করবো আশা করছি আগের থেকে যানজট কমবে।

সোনাইমুড়ী পৌরসভার মেয়র ভিপি নুরুল হক চৌধুরী বলেন অটোরিকশা, ইজিবাইক ও রিকশা-ভ্যানচালকরা সচেতন হলে যানজট কিছুটা কমানো সম্ভব। এর সঙ্গে আমরা উদ্যোগ নিয়ে নির্ধারিত স্ট্যান্ড তৈরি করার । তবে অটোরিকশা লাইসানের আয়তায় এনে শুধুমাত্র যাদের লাইসেন্স থাকবে তারাই বাজারের ভিতরে ঢুকতে পারবে যাদের লাইসেন্স থাকবে না। তারা পৌরসভার এলাকায় ঢুকতে পারবে না। এতে করে বাজারে যানজট কমানো সম্ভব হলে আমার বিশ্বাস।

আরও পড়ুন

  • সোনাইমুড়ী এর আরও খবর