![দৈনিক নোয়াখালীর কথা]( https://dailynoakhalirkatha.com/wp-content/uploads/2023/04/logo-noyakhali.png )
উপজেলা প্রতিনিধি, সোনাইমুড়ী : সোনাইমুড়ীতে ব্যাটারি চালিত অতিরিক্ত অটো রিক্সার কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ ও দ্রুত করার লক্ষে পায়ে চালিত রিক্সা বাদ দিয়ে বর্তমানে চলছে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা।
মানুষের কাছে প্রথম দিকে অটোরিক্সাগুলো স্বীকৃতি পেলেও বর্তমানে এগুলোই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সোনাইমুড়ী উপজেলা জেলাসহ আশেপাশের উপজেলার মানুষের জন্য মহাসড়ক অভ্যন্তরীণ সড়ক, ও সংযোগ সড়কগুলোতে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার চলাচল ক্রমেই বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রতিনিয়তই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট এবং বাড়ছে দূর্ঘটনা।
নোয়াখালী-ঢাকা মহাসড়ক, সংযোগ সড়ক এবং সোনাইমুড়ী বাজার মেইন রাস্তা গুলোতে অটোরিক্সার অবাধ চলাচলে প্রতিনিয়তই জ্যামের সৃষ্টি হয়। রিক্সাগুলো ব্যাটারি চালিত হওয়ায় এগুলো চার্জ করতে খরচ হয় অনেক বিদ্যুৎ । যার ফলে বিদ্যুৎ ঘাটতি ও লোডসিডিং বেড়ে যাচ্ছে।অন্যদিকে রিক্সাগুলোতে দক্ষ চালক না থাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের দিয়ে রিক্সা চালানোর কারনে রিক্সা দূর্ঘটনা কয়েকগুন বেড়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকদের নেই কোন প্রশিক্ষণ বা লাইসেন্স। ডে-লেবার থেকে শুরু করে কিশোরা পর্যন্ত অটোরিকশা চালকের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে গেছে বহুলংশে। এভাবে প্রায় প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। অথচ কেউ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে ভূক্তভোগিদের অভিযোগ। ফলে বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন অটোরিকশা চালকরা। এতে অনেকেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ অতিদ্রুত অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও অদক্ষ চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
সোনাইমুড়ি আরিফ হোসেন নামে একজন ব্যবসায়ী বলেন ঘনঘন দূর্ঘটনার ফলে যাত্রীদের মনে ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।ব্যাটারি চালিত এসব অটোরিক্সা অবিলম্বে বন্ধ করে লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ চালক দ্বারা সীমিত আকারে শুধুমাত্র সংযোগ সড়কে রিক্সা চালানোর দাবি করেন তিনি মানুষ।
পথচারী ইয়াসিন ভূঁইয়া বলেন, আসলে প্রথম প্রথম এই অটোরিকশা আসায় অনেক উপকার এবং ভালো হয়েছিলো। এখন এই গুলো অনেক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, এখন সোনাইমুড়ী যে পরিমাণ অটোরিকশা তাতে এমন ঝামেলা হয় যে পৌরসভার কোনো সড়কে একটি অটোরিকশা যদি উল্টো পথে ঘুড়িয়ে দেয় তাহলে পরে বিরাট যানজট সৃষ্টি হয়। আমি মনে করি অটোরিকশা ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক অটোরিকশা চালকদের অটোরিকশা না চালাতে দেওয়ার।
মোহাম্মদ হাসান মঞ্জু নামে একজন অটোরিকশা যাত্রী বলেন, কোন প্রকার ট্রেনিং বা দক্ষতা ছাড়াই এসব কিশোর চালকের অটোরিকশায় যাতায়ত করছি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। কখন যে দুর্ঘটনা ঘটে যায়। তা আল্লাহই ভাল জানেন। প্রসঙ্গত.সোনাইমুড়ি স্পিনিং পোল থেকে সোনাইমুড়ি হামিলিয়া কামিল মাদ্রাসা পর্যন্ত আটোরিকশার ভীরে মানুষ যাতায়াতই করতে পারে না। এ সামান্য রাস্তা টুকু ২০ মিনিট সময় লেগেছে। এততো জ্যাম এবং সড়কের অবস্থা বঙ্গ বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ের মত এটি একটি পৌরসভার বাজার আমার মনে হয় না কেউ আছে দেখার মত।
প্রধান সড়কে অটোরিকশার ভীরে যাতায়াত খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। বলতে গেলে প্রতিদিনি ছোট থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। অভিযোগ উঠেছে অটোরিকশা চালকরা খামখেয়ালিভাবে মহিলাদের সাথে পর্যন্ত এক্সিডেন্ট করেও অবাধে চলে যায়। আমি সোনাইমুড়ী দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছে অনুরোধ করব এর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ।
সোনাইমুড়ী পৌরসভার মেয়র ভিপি নুরুল হক চৌধুরী বলেন, এদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য বিভিন্ন ব্যাবস্থা নিচ্ছি, নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করবো।
আপনার মতামত লিখুন :