• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে ভাংচুরের ঘটনায় মামলা

উপজেলা প্রতিনিধি, সেনবাগ : নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ি) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূইয়া মানিকের সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও গুলি ছোঁড়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা আক্তার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

জানা যায়, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা আক্তার বাদী হয়ে ৬৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩০ জনকে আসামি করে দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে নৌকার প্রার্থীর সমর্থক সৌরভ হোসেন সুমনকে। এ ছাড়া অন্য আসামিদের সবাই নৌকার প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থক।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল রহমানের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, ককটেল বিস্ফরণ ও গুলি ছোঁড়ার ঘটনায় ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসাসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলমের কর্মী সকর্থকেরা জড়িত বলে অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান মানিকের।

ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, গত শনিবার সন্ধ্যায় ৫০-৬০ জনের একটি দল আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণ ও পাঁচ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। পরে বাড়ির দরজা-জানালার কাচ ও ভেতরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছোট ছেলে সাইফুল আলম দিপুর নেতৃত্বের তার বাহিনী এ হামলা চালায়। তারা আমার বাড়ির কিছুই রাখেনি। ভাঙচুরের পর ব্যাপক লুটপাট করেছে। আমি দিপুর সঙ্গে তর্কও করেছি। তারা সিসিটিভির ফুটেজ নিয়ে গেছে। পুলিশকে গুলির খোসাসহ হামলার আলামত বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন, নৌকার প্রার্থীর সমর্থক সৌরভ হোসেন সুমনের বিরুদ্ধে গত ১৫ ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেইনি। যদি সময়মতো ব্যবস্থা নিতো তাহলে এমন ঘটনা বারবার ঘটতো না। প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু পরিবেশ চাই।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় ৬৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

প্রসঙ্গত, নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোরশেদ আলম (নৌকা), স্বতন্ত্র মোহা. আতাউর রহমান ভূঁইয়া (কাঁচি), জাসদের নাইমুল আহসান জুয়েল (মশাল), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ (টেলিভিশন), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রবিউল হোসাইন (ছড়ি), জাতীয় পার্টির তালেবুজ্জামান (লাঙ্গল) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির কাজী সরওয়ার আলম (হাতঘড়ি)। এ আসনে মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৪৯ টি এবং মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৪৬৪ জন।

আরও পড়ুন