• ঢাকা
  • সোমবার, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট : ৬ এপ্রিল, ২০২৪

সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতির দায়িত্ব নিলেন ব্যারিস্টার খোকন

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব। সাধারণ সভায় সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। তবে নির্বাচিত তিন সদস্য দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। আওয়ামী লীগ সমর্থক সাদা প্যানেলের সম্পাদক পদে বিজয়ী অ্যাডভোকেট শাহ মনজুরুল হকসহ ১০ জন দায়িত্ব নিয়েছেন।

দায়িত্ব গ্রহণ করার আগে দেয়া বক্তব্যে ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে কখনো ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি, যা এবার ঘটেছে। সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচন স্বচ্ছ করতে হবে। প্রয়োজনে আইন করতে হবে। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের সময় ফুল গ্রহণ করেননি।

এর আগে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য সমর্থিত ও সমমনা আইনজীবীদের সাথে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এক মতবিনিময় সভা করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক আলহাজ গিয়াস উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন- আইনজীবী মহসিন রশিদ, শাহ আহমেদ বাদল, ওয়ালিউর রহমান খান, মনির হোসেন, গোলাম মোস্তফা, রফিকুল ইসলাম মেহেদী, এ বি এম রফিকুল হক তালুকদার রাজা, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, কাজী জয়নাল আবেদীন, শরীফ ইউ আহমেদ, ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, মির্জা আল মাহমুদ, জাহাঙ্গীর কবির প্রমুখ।

এর আগে গত ২৭ মার্চ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পক্ষ থেকে ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী ও মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপির প্যানেল থেকে বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ চারজনকে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে চিঠি দেন। তবে গতকাল ওই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন ব্যারিসটার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

আইনজীবী ফোরামের ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি/সম্পাদকদের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গত ৬ ও ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের পর গত ১০ মার্চ ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে ন্যায়সঙ্গত যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, আপনাকে/আপনাদের এই মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, আপনি/ আপনারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫-এর মেয়াদকালের দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। আপনি/আপনারা দলের দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে দলীয় এই সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে পালন করবেন।’

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, বিগত দুই বছরের মতো এবারের নির্বাচনেও ক্ষমতাসীনরা নজিরবিহীনভাবে ভোট জালিয়াতি, কারচুপি ও মনগড়া ফলাফল ঘোষণা করেছে। এমনকি সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ দলীয় দু’জন প্রার্থী, প্রথমে নাহিদ সুলতানা যুথী ও পরে শাহ মঞ্জুরুল হককে তথাকথিত বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ক্ষমতাসীন দলের বহিরাগত সন্ত্রাসীরা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে সমিতির অডিটোরিয়ামে হামলা চালিয়ে আইনজীবীদেরকে মারধর ও ব্যালট পেপার ছিনতাই করে। ওই ঘটনা আওয়ামী লীগের দু’জন সম্পাদক পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘটিত হলেও সরকারের একজন বেতনভুক আইন কর্মকর্তা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ও আরো তিনজন আইনজীবী ফোরামের নেতাকে আসামি করে শাহবাগ থানায় একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ফৌজদারি মামলা দায়ের করে।

চিঠিতে বলা হয়, ওই মামলায় ওসমান চৌধুরী, সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুসকে (কাজল) গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়। তারা দুই সপ্তাহের মতো কারাভোগ করেছেন। তাদেরকে কারাগারে রেখে গত ১০ মার্চ লুট হয়ে যাওয়া ব্যালট পেপার গণনার নাটক সাজিয়ে তথাকথিত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। যে নির্বাচনে আমাদের পুরো প্যানেলেরই বিজয় সুনিশ্চিত ছিল, সেখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভোটডাকাতি জায়েজ করতে আপনাদেরকে (বিএনপির বিজয়ী চারজন) নামকাওয়াস্তে বিজয়ী দেখানো হয়েছে। আইনজীবী সমাজ ও দেশের আপামর জনগণ নির্বাচনের এই ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

আরও পড়ুন

  • বিশেষ প্রতিবেদন এর আরও খবর